বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০১০

Rajshahi Rangers becomes Champion of NCLt20


Rajshahi Rangers kept the nerve strong to win the first ever NCLt20 champion. They beat Khulna kings by 6 wickets in a fighting match in Mirpur home of cricket. They have chased a great total of 161 runs while the whole tournament was full of low scoring matches. It has been the highest chase so far in NCLt20.
টি-টোয়েন্টির উত্তাপে এবার মেতে উঠলো হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। আর সে উত্তাপে এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম চ্যাম্পিয়ন দল রাজশাহী রেঞ্জার্স। অসাধারণ এক ফাইনাল ম্যাচে নিজেদের শ্রেষ্ঠতব প্রমাণ করে খালেদ মাসুদ পাইলট চারদিনের ম্যাচের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ভার্সনেও চ্যাম্পিয়নের মালা পরালেন। সেইসাথে চমৎকার সূচনা করেও শেষ পর্যমত্ম ৬ উইকেটে হেরে সাকিবের খুলনা কিংস হতাশ করে মাঠ ছাড়েন।

শেষ দুই ওভারে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ১৪ রানের। অধিনায়ক সাকিব ইলিয়াস সানির হাতে বল তুলে দেয়ার পরই শেষ ব্রেক থ্রম্ন পায় খুলনা, রাজশাহীকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলা শুভগত হোমের উইকেট নেন সানি। তার ওভারের শেষ বলে নিজেই ক্যাচ ধরে অসাধারণভাবে ম্যাচে ফেরান খুলনাকে। তবে মিস ফিল্ড এবং স্ট্যাম্প মিসের খেসারত দিয়েছে তারা, কারণ, সেই ওভারের প্রথম বলে শুভগতকে স্ট্যাম্প করতে ব্যর্থ হয়েছেন কিপার মিথুন। অথচ তখনো দলের প্রয়োজন ছিল ১৩ রানের। সেই মিসের পর এক চারে বাকি ছয় রান নিয়ে শুভগত ফিরে যান।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাইলটদের প্রয়োজন ছিল ৭ রানের। খুলনার অধিনায়ক সাকিব বল তুলে দেন ডলারকে। সেমিফাইনাল ম্যাচে সিলেটের মাশরাফিকে পরাসত্ম করা ছাড়াও ডলারের বুদ্ধিমত্তা বোলিংয়ের কারণে খুলনা ফাইনালে ওঠে। অনেকটা সে আত্মবিশ্বাসের কারণেই গতকাল বল তুলে দেন সাকিব, কিন্তু তার ক্যাপ্টেন্সি যে ভুল ছিল তার প্রমাণ হয় মাত্র ২ বলে পাকিসত্মানী কায়সার আববাসের দুই চারে। মিস ফিল্ড হওয়ায় আববাস শেষ ওভারের দুই বলে ২টি চার মেরে দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন। বলতে গেলে শুভগত এবং আববাসই ম্যাচের মোর ঘুরিয়ে দিয়েছেন। দুইজনই ফিফটি রান করেন। শুভগত ৪৯ বলে ৬২ রান করেন এবং আববাস ৪৪ বলে ৬১ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪৬ রানে ৩ উইকেট পরার পর এ দুইজন ধীরে ধীরে উইকেটে সেট হয়ে খেললেন নিজেদের সেরা খেলাটি। বিশেষ করে সেমিফাইনালের আগে পাকিসত্মান থেকে উড়িয়ে আনা আববাসকে দিয়েই রাজশাহী শেষ পর্যমত্ম চ্যাম্পিয়ন হতে পারলো।

গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হাজার পনর দর্শকের সামনে খুলনা যেন নতুন করে টি-টোয়েন্টি খেললো। অধিনায়ক সাকিবসহ দলের সবাই কাল নিজেদের মেলে ধরেছেন ঠিক যেমন টি-টোয়েন্টির মত। পিটারসেনের ২২বলে ৩৪, কিংবা অধিনায়ক সাকিবের ১৫ বলে ২৭ রানই বলে দিচ্ছিলো কালকের ম্যাচটি ছিল খুলনার পÿÿ। দিনের সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছেন আলাউদ্দিন বাবু। মাত্র ৬ বলে দুই ছয় এবং এক চারে শেষ ওভারে ২১ রান তুলে নিজে ২০ রান করে অপরাজিত থেকে খুলনাকে এনে দেন ১৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। ডলার ও বাবুর ব্যাটিং ঝড়ে খুলনা শেষ পাঁচ ওভারে তোলে ৫৪ রান।

১৬২ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে রাজশাহী শুরম্নটা করে ঝড় দিয়ে। দুই ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকি এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বিস্নজার্ড মিলে প্রথম ৪ ওভারে তোলে ফেলে ৪২ রান। এরপর পাইলটরা সাকিবের ক্যাপ্টেন্সির কাছে হার মেনে মাত্র এক ওভারের ব্যবধানে রাজশাহী হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। আর সেই ব্রেক থ্রম্নটি দেন অভিজ্ঞ বোলার আব্দুর রাজ্জাক। তার প্রথম ওভারেই তুলে নেন জুনায়েদ ও হান্নানকে। এরপরই রাজশাহীর দায়িতব নিয়ে খেলতে থাকেন শুভগত এবং আববাস। শুভগত এর আগেও লীগ পর্বের ম্যাচগুলোতে দারম্নণ ব্যাটিং করেছেন।

কালও যেন সময়মত নিজের পারফর্মেন্সকে তুলে ধরলেন। শেষ পাঁচ ওভারে ৪২, শেষ দুই ওভারে ১৪ এভাবে রানের পিছনে ছুটে দলকে জয় পাইয়ে দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন আববাস।

তবে এনসিএল টি-টোয়েন্টির টুর্নামেন্টে সত্যিকার টি-টোয়েন্টির উত্তাপ ছিল কালকের ফাইনালে। সাকিব, জুনায়েদ এবং নাঈমসহ জাতীয় দলের সবাই কাল টি-টোয়েন্টির মত পারফর্মেন্স করেছেন। তবে কিছু মিস ফিল্ড এবং স্ট্যাম্প মিসের কারণে প্রথম এনসিএলের শিরোপা নিতে পারেনি খুলনা। আর চারদিনের ম্যাচের পর পাইলটরা প্রমাণ করলো জাতীয় ক্রিকেট লীগের সেরা দল বলতে এখনো রাজশাহীই।

স্কোর কার্ড

টস : খুলনা কিংস।

খুলনা কিংস : ২০ ওভার ১৬১/৬ (পিটারসেন ৩৪, সাকিব ২৭, মিথুন ২০, ইমরম্নল ২৪, বাবু অপঃ ২০, ডলার অপঃ ১৭। আববাস ২/২৪, মুক্তার ২/২০)।

রাজশাহী রেঞ্জার্স : ১৯.২ ওভারে ১৬৩/৪ (শুভগত ৬২, আববাস অপঃ ৬১, জুনায়েদ ১৮, বেস্নজার ১৫, হান্নান ৪। রাজ্জাক ২/২১, সাকিব ও সানি ১টি করে উইকেট। ফল : রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ফাইনাল : কায়সার আববাস। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট : মাশরাফি বিন মর্তুজা (সিলেট)।
Source: DITTQ

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০১০

NCLt20 final today | A lot of Prizes waiting

NCL t20 final is going to be played today. Rajshahi Rangers will face against Khulna Kings.
এক কোটি ৫০ লাখ টাকার ডেসটিনি গ্রম্নপের স্পন্সর শীপে আয়োজিত এ আসরের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ পুরস্কার ছাড়াও ক্রিকেটাররা পাবে ব্যক্তিগত পুরস্কার। টুর্নামেনেটর মোস্ট ভেল্যুয়েবল ক্রিকেটার কাদেরাবাদ ডেভলপারর্সের কাছে থেকে পাবে ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের সিডান গাড়ী, ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টকে সিটি ব্যাংক দিচ্ছি নগদ ১ লাখ টাকা, সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীকে ওয়াল্টন দিচ্ছে ১২৫ সিসি’র ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের মোটর সাইকেল, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীকে ডেসটিনি গ্রম্নপ দিবে ৭৩ হাজার টাকা মূল্যের ৩২ ইঞ্চি এলসিডি টিভি।

এ ছাড়া এরামেক্স এক্সপ্রেস ফিফটির জন্য ৫০ হাজার টাকা, দিয়া গোল্ড ম্যান অব দ্য ম্যাচ ৫০ হাজার টাকা, ডেসটিনি ডায়মন্ড সর্বোচ্চ ছক্কার জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং ডেসটিনি মোস্ট ইকনোমি বোলারের জন্য থাকছে ৩০ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার।

Source: DITTQ

NCLt20 final today | A lot of Prizes waiting

NCL t20 final is going to be played today. Rajshahi Rangers will face against Khulna Kings.
এক কোটি ৫০ লাখ টাকার ডেসটিনি গ্রম্নপের স্পন্সর শীপে আয়োজিত এ আসরের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ পুরস্কার ছাড়াও ক্রিকেটাররা পাবে ব্যক্তিগত পুরস্কার। টুর্নামেনেটর মোস্ট ভেল্যুয়েবল ক্রিকেটার কাদেরাবাদ ডেভলপারর্সের কাছে থেকে পাবে ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের সিডান গাড়ী, ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টকে সিটি ব্যাংক দিচ্ছি নগদ ১ লাখ টাকা, সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীকে ওয়াল্টন দিচ্ছে ১২৫ সিসি’র ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের মোটর সাইকেল, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীকে ডেসটিনি গ্রম্নপ দিবে ৭৩ হাজার টাকা মূল্যের ৩২ ইঞ্চি এলসিডি টিভি।

এ ছাড়া এরামেক্স এক্সপ্রেস ফিফটির জন্য ৫০ হাজার টাকা, দিয়া গোল্ড ম্যান অব দ্য ম্যাচ ৫০ হাজার টাকা, ডেসটিনি ডায়মন্ড সর্বোচ্চ ছক্কার জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং ডেসটিনি মোস্ট ইকনোমি বোলারের জন্য থাকছে ৩০ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার।

Tamim Iqbal Injury issue


হাতের উল্টো পিঠে হাড়ের চিড়টা আরও বড় হয়েছে বলে আশঙ্কা করেছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে কাল পাওয়া এমআরআই আর স্ক্যান রিপোর্ট সুসংবাদই শোনাচ্ছে তামিম ইকবালকে। চোটটা তেমন গুরুতর নয়। ডাক্তার ও ফিজিও আশাবাদী, দুই-তিন দিনের মধ্যেই সেরে যাবে তা।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির শেষ ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ হাতের তালুর উল্টো দিকে চোট পেয়েছিলেন তামিম। পরশু আঘাতের স্থানে এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করানো হয়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করেছিলেন, পুরোনো হেয়ার ফ্র্যাকচারটাই বুঝি আরও গুরুতর রূপ নিয়েছে। সেটা হলে তিন থেকে চার সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে চলে যেতে হতো তামিমকে। কিন্তু কাল রিপোর্ট পাওয়ার পর আনন্দিত শোনাল প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের কণ্ঠস্বর, ‘রিপোর্ট বলছে, আগের চিড়টা বড় হয়নি। তবে বাঁ হাতের কবজির ওপরের দিকের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডাক্তার ও ফিজিও আশাবাদী, দুই-তিন দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে এটা।’
তার পরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে আগামীকাল আরও একবার পরীক্ষা করে দেখা হবে তামিমের বাঁ হাতের ইনজুরি।
Source: DPA

সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১০

Tamim Iqbal is Injured | Alok Kapali can be replaced

কারো ইনজুরি কাপালীর দলে ঢোকানোর জন্য যথেষ্ট। তার সুযোগ হতে পারে তামিমের ইনজুরি
তামিমের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা অনিশ্চিত বলেই জাতীয় দলে ফেরার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে অলোক কাপালীর। ক্লাসিক ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত কাপালীকে বিশ্বকাপের ৩০ জনের মধ্যে রাখা হলেও সেরা ১৫তে নেই। কিন্তু এনসিএলে কাপালী তার পারফর্মেন্স দিয়েই আবার প্রমাণ করেছেন ২০ ওভারের ম্যাচে এখনো সেরা খেলাটি খেলতে পারবেন তিনি। অমত্মত, জাতীয় দলের তামিম ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানদের তুলনায় এনসিএলে তার ব্যাটিং গড় ভালো। বিশ্বকাপের ১৫ জনের নাম যেহেতু ঘোষণা হয়েছে, এ কারণে তার জাতীয় দলে ঢোকা একটু কঠিন বলে মানছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান। তবে কারো ইনজুরি কাপালীর দলে ঢোকানোর জন্য যথেষ্ট। সেÿÿত্রে তার সুযোগ হতে পারে তামিমের ইনজুরি। এনসিএল খেলার সময় হাতে ব্যথা পেয়েছেন দেশের এই ওপেনার। ফিজিও জানিয়েছেন এই ইনজুরি কখনো অল্প সময়ে ভালো হয়, আবার দুই থেকে তিন সপ্তাহ লেগে যায়। ফিজিও হেনরি আরো জানান, তামিমের আগের জায়গায় আবার ব্যথা পেয়েছেন। ব্যথা সারতে সময় লাগবে। তবে তাকে আরো তিন-চারদিন দেখতে হবে। ৩ দিন পর তার ব্যাপারে সিদ্ধামত্ম নেয়া হবে। তামিম ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থান তেমন সুখকর হবে না যেটি ভালো করেই জানেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজ। এ কারণে তামিম খেলতে পারবেন কিনা সেটি এখুনি কিছু বলতে নারাজ। এমনকি ফিজিও আশাবাদী বিশ্বকাপে তামিম খেলবেন। তবে ইনজুরি যদি তাকে খেলতে না দেয় তাহলে বিকল্প হিসেবে অনেকের নাম আসতে পারে। সেÿÿত্রে হয়তো লিষ্টে এগিয়ে থাকবেন অলোক।

আইসিএল থেকে ফিরে ইতিমধ্যে আফতাব এখন জাতীয় দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেছেন। শাহরিয়ার নাফীসকে সুযোগ দিলেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এখন বাকি কাপালী, তবে ইংল্যান্ডের বিপÿÿ প্রাকটিস ম্যাচে তাকে খেলার প্রসত্মাব দেয়া হলেও তিনি নাকি তখন খেলতে চাননি বলে জানালেন এনায়েত হোসেন সিরাজ। তখন তার পারফর্মেন্স জাতীয় দলের দরজা হয়তো খুলে যেতে পারতো। এদিকে এনসিএলে তামিম এবং নাঈমের পাশাপাশি কাপালীও ৬ ম্যাচে ১৫৬ রান করেছেন, রান সংগ্রহকারীদের মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছেন। তার ফর্মই জাতীয় দলের পথটা অনেক সহজ করে দিয়েছে। সেÿÿত্রে অবশ্য ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান কিছু জানালেন না। ‘তামিম যদি কোন কারণে বিশ্বকাপে খেলতে না পারেন, নির্বাচকরা বিকল্প খেলোয়াড়ের তালিকা দিবে, আমরা যাচাই-বাছাই শেষে সেটির অনুমোদন দিব। তখন যদি ফর্মে থাকা কোন খেলোয়াড় বাদ পড়ে সেটি আমরা দেখবো’।

ক্রিকেট অপারশেন্স যদিও খুলে কিছু বলেননি, তবে ধারণা করা যাচ্ছে, তামিম সুস্থ না হলে হয়তো সেই জায়গাটি পূরণ করা হবে কাপালীকে দিয়ে। কারণ, এই মুহূর্তে তামিমের জায়গাটি কাপালী পূরণ করতে পারেন। তার জন্য অপেÿা করতে হবে আগামী শুক্রবার পর্যমত্ম। সেদিনই বাংলাদেশের এই ওপেনারের বিষয়ে ফায়সালা হবে, আর পরের দিন শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে বাংলাদেশ দল।

এমন নিরামিশ সেমিফাইনাল বোধ হয় কেউ প্রত্যাশা করেনি



টি-টোয়েন্টির উত্তাপের দেখা যায়নি প্রথম সেমিফাইনালেও, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞদের নিয়ে গড়া সিলেট সুলতানের ব্যাটিং ঝড়ও হয়তো টিম ম্যানেজমেনেটর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম পর্যমত্ম সীমাবদ্ধ ছিল। সেমিফাইনালের আগ পর্যমত্ম সিলেট সুলতানের ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিংয়ের যে ঝড় দেখিয়েছেন তাতে এমন নিরামিশ সেমিফাইনাল বোধ হয় কেউ প্রত্যাশা করেনি। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টি-টোয়েন্টির মেজাজ প্রথম ম্যাচের তুলনায় কিছুটা ফুটে উঠেছে। তারপরও আশরাফুল নাঈমদের মত মারকুটে ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও এমন মরা ম্যাচ দেখতে হবে দর্শকদের যা তারাও ভাবেনি।

সিলেটের শক্তিকে খর্ব করে কাল খুলনা এনসিএলের টি-টোয়েন্টির ফাইনাল জায়গা করে নিল, আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী হয়ে রাজশাহী ফাইনালে জায়গা করে নেয়। খুলনার বিষয়টি বলতে গেলে একটু আলাদা, সেমিফাইনালের আগে তাদের মরা পারফর্মেন্সে টিকে থাকাটাই যেখানে দায় হয়েছিল, সেখানে কাল সিলেটকে ১৩১ রানে বেঁধে ফেলে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে চলে গেল ফাইনালে। সিলেটের মেয়র বদরম্নদ্দিন কামরানের উপস্থিতিতেও মাশরাফি পারেননি তার দলকে প্রথম সেমিফাইনালের ফাইনালে উঠাতে।

বরাবরের মত কালও সাকিব ব্যাট হাতে ব্যর্থ এই টুর্নামেন্টে তিনি বোধ হয় পণ করেছেন রান করবেন না। না হলে ১৩১ রানের মামুলি স্কোর সত্ত্বেও জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে কেন তিনি ওমন করে শট খেলতে গেলেন। দল জিতেছে ৬ উইকেটে; কিন্তু সেটির ব্যবধান আরেকটু বড় হতে পারতো। তার মতই ভুল করেছেন অলোক কাপালী। খুলনার অধিনায়ক সাকিবের বলের ফাঁদে পা ফেলে এগিয়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্প হয়ে পুরো দলকে ডুবিয়েছেন তিনি। শ্রীলংকান নুয়ান জয়সা দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়ে সিলেটের ব্যাটিং লাইন আপ ভেঙ্গে দিয়েছেন। বড় একটি পার্টনারশীপের প্রয়োজন হলেও ধীমান লেগ সাইডে বল খেলতে গিয়ে এলবি হন রাজ্জাকের প্রথম স্পেলের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে। তবে ৫২ রানের একটি পার্টনারশীপ হয়েছে ফরহাদ রেজা এবং ইন্ডিকার কারণে। রাজ্জাকের তৃতীয় ওভারে দুই চার ও ১ ছক্কায় ১৭ রান নিয়ে সিলেটকে সেঞ্চুরি রানে পৌঁছে দেন ১৫.৫ ওভারে। ফরহাদ আলাউদ্দিন বাবুর বলটি উঠিয়ে মারতে গিয়ে পয়েন্টে সাকিবের হাতে ধরা পড়ার আগে দলকে মূল্যবান ৪৩ রান দিয়ে যান। শেষদিকে ছক্কা মিলন ছক্কা না পাওয়ায় এবং অধিনায়ক মাশরাফি রানের পিছনে ছুটতে গিয়ে ১৫ বলে ১৫ রান করায় দলের স্কোর ১৪০-এ যেতে পারেনি। ১৩১ রানে আটকে থেকে খুলনা কিংসকে টার্গেট দেয় ১৩২ রানে।

তবে খুলনাও যে বেশ সহজে জয় পেয়েছে তা নয়। খেলা শেষ হওয়ার দুই বল বাকি থাকতে খুলনা জয় পায়। অথচ টি-টোয়েন্টির প্রতি ওভারেই তারা রানের জন্য যুদ্ধ করেছে। ৫ ওভারে ৪০, ১০ ওভারে ৫৮ রান এভাবে স্কোরের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন শ্রীলংকান মাহেলা লকমল এবং ইমরম্নল কায়েস। তবে এই দুইজনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিটি খুলনাকে জয় পাইয়ে দেয়। বিশেষ করে ওপেনিংয়ে নেমে যে বুদ্ধির ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়েছেন, ফরহাদের থ্রোতে রান আউট হবার আগে ৩৬ বলে ৩৮ রান বলে দিচ্ছে মাহেলার ইনিংসটি কতটা গুরম্নত্বপূর্ণ ছিল। ম্যাচসেরাও তিনি হন। বলতে গেলে ভঙ্গুর খুলনাকে ফাইনালে উঠানোর সব কৃতিতব মাহেলার, অধিনায়ক সাকিবের নয়।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে প্রথমে ব্যাটিং-এ নেমে রাজশাহী ২০ ওভারে রান করে ৬ উইকেটে ১৪২। আলদ্বীন সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন। আর নাঈম করেন ৩১। ঢাকার তাপস বৈষ্য ১৭ রানে ২ উইকেট নেন। জবাবে জয়ের জন্য ১৪৩ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে লিগ পর্বে অপরাজিত আশরাফুলের ঢাকা ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় খেলার ১ বল বাকি থাকতে। মোহাম্মদুলস্না সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন। সাইফুল, নাঈম ২টি করে উইকেট নেন। ব্যাটিং ও বলিং নৈপুণ্য প্রদর্শন করে ম্যাচ সেরা হন নাঈম ইসলাম।

NCLt20 Final | Rajshahi Facing Khulna

NCLt20 Final | Rajshahi Facing Khulna
Khulna Kings beat strong Sylhet Sultans in the first semifinal and Rajshahi Rangers beat top favorite Dhaka dynamites in the second semifinal to reach into the final of first NCLt20. But the batting collapse did not improve today’s matches too. It has been an issue of worry for Bangladesh as the world cup t20 is knocking at the door. Rajshahi Division won by 12 runs (Full Scorecard) & Khulna Division won by 6 wickets (Full Scorecard).