প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়ে দল বানিয়েছে চট্টগ্রাম সাইক্লোন, কিন্তু মাঠে খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্স ক্রমেই হতাশা বাড়াচ্ছে। টিম ম্যানেজম্যান্টও এখন ভাবতে শুরম্ন করেছে সাইক্লোনকে নিয়ে। এনসিএলের তিনটি ম্যাচেই হেরে গেছে তারা, গতকাল খুলনার কিংসের কাছে ৭৮ রানে হেরে ব্যর্থতার ষোলকলাপূর্ণ হয়েছে তাদের। অন্যদিকে কলকাতা থেকে ফিরে দারম্নণ ফর্মে থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজা কালও ৩ উইকেট নিয়েছেন, তবে দলকে জেতাতে পারেননি। আর টানা দুই ম্যাচ জেতার পর অবশেষে বরিশাল বেস্নজার্সের কাছে হেরে এনসিএলের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল রাজশাহী রেঞ্জার্স।
মিরপুর শেরবাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের টপ অর্ডাররা রানের দেখা পায়নি, খুলনার ১৮০ রানের জবাবে আগের দিনের ৯১ রান করা তামিম ইকবাল কাল মাত্র এক বল খেলে শূন্য রানে বিদায় নেন। নাসির হোসেনের ৩৯ বলে ২৪ ছাড়া বিশের ঘরে কেউ যেতে পারেনি। শ্রীলংকান নুয়ান জয়সার ৪ উইকেটের কারণে ২০ ওভারে ১০২ রানে থেমে যায় চট্টগ্রাম সাইক্লোন। তবে খুলনার কিংস অবশ্য ইমরম্নল কায়েসের ব্যাটে ভর করে ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। কায়েস ৩ ছয় এবং ৫ চারে ৪৮ বলে ৭১ রান করলে ১৮০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে খুলনা। যদিও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এ ম্যাচেও তেমন স্কোর পাননি।
খুলনার এটি দ্বিতীয় জয়, আর চট্টগ্রামের টানা তৃতীয় পরাজয়। এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সকালে রাজশাহী রেঞ্জার্স বরিশাল বেস্নজার্সের চমকের কাছে হেরে যায়। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাপ্টেন মাহমুদুল হাসান এবং সৈয়দ রাসেলের বোলিংয়ের কারণে পাইলটের দল মাত্র ১১৫ রানে গুটিয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বিস্নজার্ড ৩ ছয় ও ৩ চারে ২৬ বলে ৩৯ রান করেন দলের সর্বোচ্চ স্কোর। মাহমুদুল ৩টি এবং রাসেল ২টি উইকেট নিলে দলের রান ১১৫ থেমে যায়।
বরিশালের দুই ওপেনার ৫৫ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও দলের হাল ধরে ম্যাচ জেতান শ্রীলংকান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাপ্টেন রাজাপাকশে এবং জাতীয় দলের মিডল অর্ডার রকিবুল হাসান। রাজাপাকশে ২৮ বলে ৩০ এবং রকিবুল ২৫ বলে ৩৬ রান করেন।
বিকেএসপির দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে দুই সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি ও আশরাফুলের মধ্যে লড়াইয়ে জিতেছেন লিটল মাস্টার আশরাফুল। যদিও মাত্র ১ বলে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন তিনি, কিন্তু দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন অ্যাশ। অন্যদিকে বল হাতে দারম্নণ পারফর্ম করার পরও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে তার দল সিলেট সুলতান হেরে যায় ৪০ রানে। মাশরাফির তান্ডবে ঢাকার টপ অর্ডাররা ক্রিজে টিকতেই পারেননি। তবে শ্রীলংকান জীবন মেন্ডিস এবং মেহরাব হোসেন মিলে ৯২ রানের পার্টনারশীপ গড়ার ফলে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে পৌঁছে ঢাকার ডায়নামাইটস। ৩৯ বলে ৪০ রানে মেন্ডিসকে থামান মাশরাফি, কিন্তু ততÿণে ঢাকা ১৩৩ করে ফেলে, ম্যাশ নেন ২৪ রানে ৩ উইকেট।
সিলেট সুলতান অবশ্য বুড়ো রফিকের বোলিংয়ে বুদ হয়েছে। কাপালী, পাকিসত্মানী ফয়সাল, সাদাত, মাশরাফি এবং রাশেদ হানিফও কাল দাঁড়াতে পারেননি। রফিকের পাশাপাশি আশরাফুলও বল হাতে বাজিমাত করলে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় সিলেটের ইনিংস।
আজ ১ বৈশাখ বলে এনসিএলের কোন খেলা নেই। কালও তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রাজশাহী রেঞ্জার্স এবং সিলেট সুলতান খেলবে দুপুর ১টায় এবং বিকাল ৫:২০ মিনিটে খেলবে ঢাকা ডায়নামাইটস এবং খুলনা কিংস। দিনের তৃতীয় ম্যাচটি হবে বিকেএসপিতে, সকাল সাড়ে দশটায় মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম সাইক্লোন ও বরিশাল বেস্নজার্স।
Source: DITTQ
মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১০
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন