বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০১০

Rajshahi Rangers becomes Champion of NCLt20


Rajshahi Rangers kept the nerve strong to win the first ever NCLt20 champion. They beat Khulna kings by 6 wickets in a fighting match in Mirpur home of cricket. They have chased a great total of 161 runs while the whole tournament was full of low scoring matches. It has been the highest chase so far in NCLt20.
টি-টোয়েন্টির উত্তাপে এবার মেতে উঠলো হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। আর সে উত্তাপে এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম চ্যাম্পিয়ন দল রাজশাহী রেঞ্জার্স। অসাধারণ এক ফাইনাল ম্যাচে নিজেদের শ্রেষ্ঠতব প্রমাণ করে খালেদ মাসুদ পাইলট চারদিনের ম্যাচের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ভার্সনেও চ্যাম্পিয়নের মালা পরালেন। সেইসাথে চমৎকার সূচনা করেও শেষ পর্যমত্ম ৬ উইকেটে হেরে সাকিবের খুলনা কিংস হতাশ করে মাঠ ছাড়েন।

শেষ দুই ওভারে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ১৪ রানের। অধিনায়ক সাকিব ইলিয়াস সানির হাতে বল তুলে দেয়ার পরই শেষ ব্রেক থ্রম্ন পায় খুলনা, রাজশাহীকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলা শুভগত হোমের উইকেট নেন সানি। তার ওভারের শেষ বলে নিজেই ক্যাচ ধরে অসাধারণভাবে ম্যাচে ফেরান খুলনাকে। তবে মিস ফিল্ড এবং স্ট্যাম্প মিসের খেসারত দিয়েছে তারা, কারণ, সেই ওভারের প্রথম বলে শুভগতকে স্ট্যাম্প করতে ব্যর্থ হয়েছেন কিপার মিথুন। অথচ তখনো দলের প্রয়োজন ছিল ১৩ রানের। সেই মিসের পর এক চারে বাকি ছয় রান নিয়ে শুভগত ফিরে যান।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাইলটদের প্রয়োজন ছিল ৭ রানের। খুলনার অধিনায়ক সাকিব বল তুলে দেন ডলারকে। সেমিফাইনাল ম্যাচে সিলেটের মাশরাফিকে পরাসত্ম করা ছাড়াও ডলারের বুদ্ধিমত্তা বোলিংয়ের কারণে খুলনা ফাইনালে ওঠে। অনেকটা সে আত্মবিশ্বাসের কারণেই গতকাল বল তুলে দেন সাকিব, কিন্তু তার ক্যাপ্টেন্সি যে ভুল ছিল তার প্রমাণ হয় মাত্র ২ বলে পাকিসত্মানী কায়সার আববাসের দুই চারে। মিস ফিল্ড হওয়ায় আববাস শেষ ওভারের দুই বলে ২টি চার মেরে দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন। বলতে গেলে শুভগত এবং আববাসই ম্যাচের মোর ঘুরিয়ে দিয়েছেন। দুইজনই ফিফটি রান করেন। শুভগত ৪৯ বলে ৬২ রান করেন এবং আববাস ৪৪ বলে ৬১ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪৬ রানে ৩ উইকেট পরার পর এ দুইজন ধীরে ধীরে উইকেটে সেট হয়ে খেললেন নিজেদের সেরা খেলাটি। বিশেষ করে সেমিফাইনালের আগে পাকিসত্মান থেকে উড়িয়ে আনা আববাসকে দিয়েই রাজশাহী শেষ পর্যমত্ম চ্যাম্পিয়ন হতে পারলো।

গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হাজার পনর দর্শকের সামনে খুলনা যেন নতুন করে টি-টোয়েন্টি খেললো। অধিনায়ক সাকিবসহ দলের সবাই কাল নিজেদের মেলে ধরেছেন ঠিক যেমন টি-টোয়েন্টির মত। পিটারসেনের ২২বলে ৩৪, কিংবা অধিনায়ক সাকিবের ১৫ বলে ২৭ রানই বলে দিচ্ছিলো কালকের ম্যাচটি ছিল খুলনার পÿÿ। দিনের সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছেন আলাউদ্দিন বাবু। মাত্র ৬ বলে দুই ছয় এবং এক চারে শেষ ওভারে ২১ রান তুলে নিজে ২০ রান করে অপরাজিত থেকে খুলনাকে এনে দেন ১৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। ডলার ও বাবুর ব্যাটিং ঝড়ে খুলনা শেষ পাঁচ ওভারে তোলে ৫৪ রান।

১৬২ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে রাজশাহী শুরম্নটা করে ঝড় দিয়ে। দুই ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকি এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বিস্নজার্ড মিলে প্রথম ৪ ওভারে তোলে ফেলে ৪২ রান। এরপর পাইলটরা সাকিবের ক্যাপ্টেন্সির কাছে হার মেনে মাত্র এক ওভারের ব্যবধানে রাজশাহী হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। আর সেই ব্রেক থ্রম্নটি দেন অভিজ্ঞ বোলার আব্দুর রাজ্জাক। তার প্রথম ওভারেই তুলে নেন জুনায়েদ ও হান্নানকে। এরপরই রাজশাহীর দায়িতব নিয়ে খেলতে থাকেন শুভগত এবং আববাস। শুভগত এর আগেও লীগ পর্বের ম্যাচগুলোতে দারম্নণ ব্যাটিং করেছেন।

কালও যেন সময়মত নিজের পারফর্মেন্সকে তুলে ধরলেন। শেষ পাঁচ ওভারে ৪২, শেষ দুই ওভারে ১৪ এভাবে রানের পিছনে ছুটে দলকে জয় পাইয়ে দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন আববাস।

তবে এনসিএল টি-টোয়েন্টির টুর্নামেন্টে সত্যিকার টি-টোয়েন্টির উত্তাপ ছিল কালকের ফাইনালে। সাকিব, জুনায়েদ এবং নাঈমসহ জাতীয় দলের সবাই কাল টি-টোয়েন্টির মত পারফর্মেন্স করেছেন। তবে কিছু মিস ফিল্ড এবং স্ট্যাম্প মিসের কারণে প্রথম এনসিএলের শিরোপা নিতে পারেনি খুলনা। আর চারদিনের ম্যাচের পর পাইলটরা প্রমাণ করলো জাতীয় ক্রিকেট লীগের সেরা দল বলতে এখনো রাজশাহীই।

স্কোর কার্ড

টস : খুলনা কিংস।

খুলনা কিংস : ২০ ওভার ১৬১/৬ (পিটারসেন ৩৪, সাকিব ২৭, মিথুন ২০, ইমরম্নল ২৪, বাবু অপঃ ২০, ডলার অপঃ ১৭। আববাস ২/২৪, মুক্তার ২/২০)।

রাজশাহী রেঞ্জার্স : ১৯.২ ওভারে ১৬৩/৪ (শুভগত ৬২, আববাস অপঃ ৬১, জুনায়েদ ১৮, বেস্নজার ১৫, হান্নান ৪। রাজ্জাক ২/২১, সাকিব ও সানি ১টি করে উইকেট। ফল : রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ফাইনাল : কায়সার আববাস। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট : মাশরাফি বিন মর্তুজা (সিলেট)।
Source: DITTQ

1 টি মন্তব্য: