
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা, এ কারণে কিছুটা সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল তার ফিটনেস নিয়ে। কিন্তু সব টেনশনকে আছড়ে ফেললেন কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রাম সাইক্লোনকে ঠান্ডা করে নিজেই বনে যান সিলেটের সাইক্লোন। এক ওভারের সাইক্লোনে গোটা চট্টগ্রামের আকাশকে সত্মব্ধ করে দলকে প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতিয়ে আনেন জাতীয় দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি।
কাল এনসিএলের দ্বিতীয় দিনে তার ব্যাট ও বলের ছোঁয়ায় সিলেট সুলতান তাদের প্রথম জয় পায়। তবে ব্যাটিংয়ের প্রশংসার পয়েন্ট তিনি একটু বেশি পাবেন, কারণ, নাসির হোসেনের এক ওভারে তিনটি ছক্কা মেরে দলের জয়কে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন এই মাশরাফি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তার এই পারফর্মেন্স গোটা জাতীয় দলকে আশান্বিত করছে। বল হাতে শেষ ওভারে অতি বুদ্বিমান বোলিং তামিমকে যেমন এনসিএলের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত করেছে তেমনি চট্টগ্রামের রানের ফোয়ারাও আটকে দিয়েছে। শেষ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে মাশরাফি তুলে নেন তামিম ও নাসিরকে। আর পাকিসত্মানী রাশেদ হানিফের বিদায়ের পর মাশরাফির সেই তুলকালাম নিশ্চয়ই অনেকদিন মনে রাখবে চট্টগ্রাম সাইক্লোন।
১৫২ রান টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভালো স্কোর, ফরহাদ রেজার ব্যাটিং সিলেটকে আরো বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছিল শুরম্ন থেকে। বিশেষ করে পাকিসত্মানী স্পিড স্টার নামে খ্যাত শোয়েব আকতারের বোলিং ফরহাদের কাছে মামুলি হয়েছে। এনামুলকে উইকেট দিয়ে আসার আগে ৫টি চার ও একটি লংঅনের উপর দিয়ে ছক্কা দেন তিনি। কাপালী অবশ্য তখনো তার হাত খুলে খেলেননি, ফরহাদের বিদায়ের পর শোয়েব, রম্নবেল হোসেন, সাকলাইন সজীবদের উপর চড়াও হয়ে মাত্র একরানের জন্য ফিফটির দেখা পাননি আইসিএলে দুর্দামত্ম খেলা কাপালী।
অবশ্য মাশরাফির সেই সাইক্লোনে কাছে কারো স্কোরই প্রাধান্য পায়নি। দীর্ঘদিনর পর মাঠে ফিরেও মাশরাফি প্রমাণ করেছেন এখনো তিনি সেরা। আর কলকাতা থেকে তাকে আনতে পেরে সিলেটও স্বসিত্মর নিঃশ্বাস ফেলছে। শুধু স্বসিত্ম পাচেছনা চট্টগ্রাম। দেড় কোটি টাকা দিয়ে দল সাজিয়েও একমাত্র তামিম ছাড়া আর কারোর পারফর্মেন্স আশানুরূপ পাচ্ছে না। আফতাব আহমেদ, নাফীস ইকবাল, এমনকি দুই বিদেশী খুররম মাঞ্জুর এবং শোয়েব আকতারকেও উজ্জ্বল দেখা যায়নি গত দুই ম্যাচে। উত্তম সরকার প্রথম ম্যাচে হাত খুলে খেললেও কাল তার ব্যাটিংও হতাশ করেছে সবাইকে। শোয়েব আকতার কাল ৪ ওভার বোলিং করে ২৯ রান দিয়েছেন ঠিকই; কিমত্মু উইকেট পাননি। এনসিএলের প্রথম ম্যাচেও ৩১ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস নামে খ্যাত শোয়েব। চট্টগ্রাম সাইক্লোনের দুই বিদেশী রিক্রুট নিয়ে খোদ দলের কর্মকর্তারাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে, কারণ, সেমিফাইনালের লাইনের হিসেব করতে হলে বাকি তিন ম্যাচ জয়ের কোন বিকল্প নেই। আফতাব, নাফীসদের যে ব্যাটিং এবং খুররম ও শোয়েবের যে পারফর্মেন্স তাতে সাইক্লোনকে একটু ভাবতে হবে বেশি করে। এনসিএলের তৃতীয় দিনে আজ দুপুরে খুলনা কিংসের সাথে লড়বে তামিমের সাইক্লোন দল।
সংÿÿপ্ত স্কোর
টস-সিলেট সুলতান। চট্টগ্রাম সাইক্লোন: ২০ ওভারে ১৫২/৭ (তামিম ৯১, উত্তম ১, খুররম ১৭, আফতাব ১, ডিকেন্স ২, নাফীস ৮, নাসির ২৪, শোয়েব অপ: ২, এনামুল অপ ০, অতি: ৬, মাশরাফি ২/৩৪, ফরহাদ ১/৪৯, হানিফ ১/১১, নাজমুল ১/৩০)। সিলেট সুলতান: ১৮.৫ ওভারে ১৫৩/৫ (সাদাত অপ: ৪, ফরহাদ ৩২, ইকবাল ২৭, কাপালী অপ: ৪৯, হানিফ ১০, মাশরাফি ২৬, মিলন ০, অতি: ৫, রম্নবেল ২/৩৭, এনামুল ১/১৫, সাকলাইন ১/২৮)। ফল: সিলেট সুলতান জয়ী ৫ উইকেটে।
Source: DITTQ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন