
এনসিএলে জাতীয় দল এবং খুলনা কিংসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের স্কোর আহামরি নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পারফর্মেন্স নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান না পেলেও আমত্মর্জাতিক অঙ্গনে সাকিবের ব্যাটে রানের ফুলঝুরি ফুটে, যেটি সব সময় অধিনায়ককে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এবারেও যখন খুলনাকে ভালো স্কোর এনে দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন, তখনো তিনি বলে যাচ্ছেন, আমার বিশ্বাস আমত্মর্জাতিক অঙ্গনে আমি পারফর্ম করতে পারবো। তবে কেন ঘরোয়া ক্রিকেটে রান পাচ্ছেন না সেটি নিয়ে তিনি নিজেও বেশ চিমিত্মত।
কাল সিলেটের কাছে ৩৭ রানে হারার পিছনে তার ফর্ম খরা বিরাট একটি কারণ। খুলনার এই হার ঠেলে দিয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে, আজ বরিশালের বিপÿÿ ডু অর ডাই ম্যাচে না জিতলে কোটি টাকার দল খুলনাকেও হয়তো সাইড লাইনে বসে সেমিফাইনালের ম্যাচ দেখতে হবে। কিন্তু সাকিব জানালেন, মাঠের পারফর্মেন্সই বলে দিবে কে যাবে এনসিএলের সেমিফাইনালে।
খুলনাকে ভালো স্কোর দিতে ব্যর্থ হওয়া সাকিবের পারফর্মেন্স নিয়ে তিনি নিজে যেমন চিমিত্মত নন, তেমনি এনসিএলের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জাতীয় দলের অন্য খেলোয়াড়রাও রান পাচ্ছেননা বলেও সেটি নিয়েও ভাবছেন না। এর কারণ হিসেবে বললেন, ঘরোয়া ক্রিকেট আর আমত্মর্জাতিক ক্রিকেট এক নয়। যারা এনসিএলে রান পাচ্ছেন না তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঠিকই রান পাবে বলে তার বিশ্বাস। বিষয়টির সাথে একমত সিলেটের অধিনায়ক এবং জাতীয় দলের স্ট্রাইক বোলার মাশরাফি বিন মুর্তজা। দেখুন, যারা এনসিএলে রান পায়নি, তারা বিশ্বকাপে রান পাবে বলে আমি মনে করি। সেখানকার কন্ডিশন আলাদা। মাশরাফি, তামিম এবং ইমরম্নল কায়েস ছাড়া জুনায়েদ, রিয়াদ, নাঈমসহ জাতীয় দলের আর কেউ ফর্মে নেই। বিষয়টি আরো ভাবিয়ে তুলছে অধিনায়ক সাকিবের অফফর্মে থাকার কারণে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে সাকিব রান না পেলেও বিশ্বকাপে ঠিকই রান পাবেন তিনি। ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রম্নপে আমরা, তারপরও আমরা একটি ম্যাচ জিততে পারবো বলে আমি মনে করছি। আর প্রিমিয়ার লীগে রান না পাওয়ার পরও আমত্মর্জাতিক ম্যাচে রান পেয়েছিলাম’।
সাকিবের আত্মবিশ্বাসের কণ্ঠে অবশ্য তেমন একটা আশাবাদী হওয়া যায় না। ইংল্যান্ডে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে সম্মানের সবটুকুই হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ, আর এবার অস্ট্রেলিয়া ও পাকিসত্মান গ্রম্নপে রয়েছে। বেশ ঘাম ঝরাতে হবে এবারের বিশ্বকাপে।
সুপার এইটে উঠতে বেশ কঠিন হবে বলেই ইংল্যান্ড সফরের সময় তিনটি প্রাকটিস ম্যাচ রাখা হয়েছে বাংলাদেশের। যদি বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠে, তবে সেগুলো বাতিল হবে। সুপার এইট থেকে বিদায় নিবে বলেই অনেকটা নিশ্চিত হওয়ায় ইংল্যান্ডের বিপÿÿ সিরিজ শুরম্নর আগে প্রাকটিস ম্যাচ খেলছেন সাকিবরা। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে পিসিএল এবং এনসিএলকে প্রসত্মুতির টুর্নামেন্ট ধরেও আসলে কতটুকু উপকার হয়েছে সাকিবদের, সেটি এনসিএলের সেমিফাইনালের আগেই পরিষ্কার হচ্ছে।
খুলনা কোটি টাকা দিয়ে টিম কিনে নিলেও তারকা ও মেগা আইকন সাকিব একেবারে ফ্লপ। যেমনটি প্রিমিয়ার লীগে আবাহনীর হয়ে খেলেও অফফর্মে ছিলেন তিনি। আমত্মর্জাতিক ম্যাচে দারম্নণ খেলা সাকিবের জন্য বিষয়টি মানাটা দিনে দিনে কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বের অন্য দেশের খেলোয়াড়রা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলার পর আমত্মর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরার প্রয়াস পায় সেখানে সাকিবের বেলায় ঘটছে উল্টো। সাবেক এক খেলোয়াড়ের মতে, সাকিব সহ সব জাতীয় দলের খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেটে অমত্মর্ভুক্ত করা উচিত। তারা আমত্মর্জাতিক ম্যাচের দিকে বেশি ঝুলছে বিধায় ঘরোয়া ক্রিকেটের সাথে তাল মেলাতে পারে না যা ভবিষ্যতে খারাপ হয়। এ কারণে বিসিবির সিডিউলে আমত্মর্জাতিক ম্যাচের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার এমনভাবে তৈরি করা উচিত যাতে জাতীয় দলের সব খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারেন।
Sakib Al Hasan is Always a confident boy. He should have done much better performance in NCLt20 cricket.
উত্তরমুছুন