বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০১০

Rajshahi Rangers becomes Champion of NCLt20


Rajshahi Rangers kept the nerve strong to win the first ever NCLt20 champion. They beat Khulna kings by 6 wickets in a fighting match in Mirpur home of cricket. They have chased a great total of 161 runs while the whole tournament was full of low scoring matches. It has been the highest chase so far in NCLt20.
টি-টোয়েন্টির উত্তাপে এবার মেতে উঠলো হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। আর সে উত্তাপে এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম চ্যাম্পিয়ন দল রাজশাহী রেঞ্জার্স। অসাধারণ এক ফাইনাল ম্যাচে নিজেদের শ্রেষ্ঠতব প্রমাণ করে খালেদ মাসুদ পাইলট চারদিনের ম্যাচের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ভার্সনেও চ্যাম্পিয়নের মালা পরালেন। সেইসাথে চমৎকার সূচনা করেও শেষ পর্যমত্ম ৬ উইকেটে হেরে সাকিবের খুলনা কিংস হতাশ করে মাঠ ছাড়েন।

শেষ দুই ওভারে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ১৪ রানের। অধিনায়ক সাকিব ইলিয়াস সানির হাতে বল তুলে দেয়ার পরই শেষ ব্রেক থ্রম্ন পায় খুলনা, রাজশাহীকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলা শুভগত হোমের উইকেট নেন সানি। তার ওভারের শেষ বলে নিজেই ক্যাচ ধরে অসাধারণভাবে ম্যাচে ফেরান খুলনাকে। তবে মিস ফিল্ড এবং স্ট্যাম্প মিসের খেসারত দিয়েছে তারা, কারণ, সেই ওভারের প্রথম বলে শুভগতকে স্ট্যাম্প করতে ব্যর্থ হয়েছেন কিপার মিথুন। অথচ তখনো দলের প্রয়োজন ছিল ১৩ রানের। সেই মিসের পর এক চারে বাকি ছয় রান নিয়ে শুভগত ফিরে যান।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাইলটদের প্রয়োজন ছিল ৭ রানের। খুলনার অধিনায়ক সাকিব বল তুলে দেন ডলারকে। সেমিফাইনাল ম্যাচে সিলেটের মাশরাফিকে পরাসত্ম করা ছাড়াও ডলারের বুদ্ধিমত্তা বোলিংয়ের কারণে খুলনা ফাইনালে ওঠে। অনেকটা সে আত্মবিশ্বাসের কারণেই গতকাল বল তুলে দেন সাকিব, কিন্তু তার ক্যাপ্টেন্সি যে ভুল ছিল তার প্রমাণ হয় মাত্র ২ বলে পাকিসত্মানী কায়সার আববাসের দুই চারে। মিস ফিল্ড হওয়ায় আববাস শেষ ওভারের দুই বলে ২টি চার মেরে দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন। বলতে গেলে শুভগত এবং আববাসই ম্যাচের মোর ঘুরিয়ে দিয়েছেন। দুইজনই ফিফটি রান করেন। শুভগত ৪৯ বলে ৬২ রান করেন এবং আববাস ৪৪ বলে ৬১ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪৬ রানে ৩ উইকেট পরার পর এ দুইজন ধীরে ধীরে উইকেটে সেট হয়ে খেললেন নিজেদের সেরা খেলাটি। বিশেষ করে সেমিফাইনালের আগে পাকিসত্মান থেকে উড়িয়ে আনা আববাসকে দিয়েই রাজশাহী শেষ পর্যমত্ম চ্যাম্পিয়ন হতে পারলো।

গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হাজার পনর দর্শকের সামনে খুলনা যেন নতুন করে টি-টোয়েন্টি খেললো। অধিনায়ক সাকিবসহ দলের সবাই কাল নিজেদের মেলে ধরেছেন ঠিক যেমন টি-টোয়েন্টির মত। পিটারসেনের ২২বলে ৩৪, কিংবা অধিনায়ক সাকিবের ১৫ বলে ২৭ রানই বলে দিচ্ছিলো কালকের ম্যাচটি ছিল খুলনার পÿÿ। দিনের সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছেন আলাউদ্দিন বাবু। মাত্র ৬ বলে দুই ছয় এবং এক চারে শেষ ওভারে ২১ রান তুলে নিজে ২০ রান করে অপরাজিত থেকে খুলনাকে এনে দেন ১৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। ডলার ও বাবুর ব্যাটিং ঝড়ে খুলনা শেষ পাঁচ ওভারে তোলে ৫৪ রান।

১৬২ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে রাজশাহী শুরম্নটা করে ঝড় দিয়ে। দুই ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকি এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বিস্নজার্ড মিলে প্রথম ৪ ওভারে তোলে ফেলে ৪২ রান। এরপর পাইলটরা সাকিবের ক্যাপ্টেন্সির কাছে হার মেনে মাত্র এক ওভারের ব্যবধানে রাজশাহী হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। আর সেই ব্রেক থ্রম্নটি দেন অভিজ্ঞ বোলার আব্দুর রাজ্জাক। তার প্রথম ওভারেই তুলে নেন জুনায়েদ ও হান্নানকে। এরপরই রাজশাহীর দায়িতব নিয়ে খেলতে থাকেন শুভগত এবং আববাস। শুভগত এর আগেও লীগ পর্বের ম্যাচগুলোতে দারম্নণ ব্যাটিং করেছেন।

কালও যেন সময়মত নিজের পারফর্মেন্সকে তুলে ধরলেন। শেষ পাঁচ ওভারে ৪২, শেষ দুই ওভারে ১৪ এভাবে রানের পিছনে ছুটে দলকে জয় পাইয়ে দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন আববাস।

তবে এনসিএল টি-টোয়েন্টির টুর্নামেন্টে সত্যিকার টি-টোয়েন্টির উত্তাপ ছিল কালকের ফাইনালে। সাকিব, জুনায়েদ এবং নাঈমসহ জাতীয় দলের সবাই কাল টি-টোয়েন্টির মত পারফর্মেন্স করেছেন। তবে কিছু মিস ফিল্ড এবং স্ট্যাম্প মিসের কারণে প্রথম এনসিএলের শিরোপা নিতে পারেনি খুলনা। আর চারদিনের ম্যাচের পর পাইলটরা প্রমাণ করলো জাতীয় ক্রিকেট লীগের সেরা দল বলতে এখনো রাজশাহীই।

স্কোর কার্ড

টস : খুলনা কিংস।

খুলনা কিংস : ২০ ওভার ১৬১/৬ (পিটারসেন ৩৪, সাকিব ২৭, মিথুন ২০, ইমরম্নল ২৪, বাবু অপঃ ২০, ডলার অপঃ ১৭। আববাস ২/২৪, মুক্তার ২/২০)।

রাজশাহী রেঞ্জার্স : ১৯.২ ওভারে ১৬৩/৪ (শুভগত ৬২, আববাস অপঃ ৬১, জুনায়েদ ১৮, বেস্নজার ১৫, হান্নান ৪। রাজ্জাক ২/২১, সাকিব ও সানি ১টি করে উইকেট। ফল : রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ফাইনাল : কায়সার আববাস। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট : মাশরাফি বিন মর্তুজা (সিলেট)।
Source: DITTQ

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০১০

NCLt20 final today | A lot of Prizes waiting

NCL t20 final is going to be played today. Rajshahi Rangers will face against Khulna Kings.
এক কোটি ৫০ লাখ টাকার ডেসটিনি গ্রম্নপের স্পন্সর শীপে আয়োজিত এ আসরের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ পুরস্কার ছাড়াও ক্রিকেটাররা পাবে ব্যক্তিগত পুরস্কার। টুর্নামেনেটর মোস্ট ভেল্যুয়েবল ক্রিকেটার কাদেরাবাদ ডেভলপারর্সের কাছে থেকে পাবে ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের সিডান গাড়ী, ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টকে সিটি ব্যাংক দিচ্ছি নগদ ১ লাখ টাকা, সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীকে ওয়াল্টন দিচ্ছে ১২৫ সিসি’র ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের মোটর সাইকেল, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীকে ডেসটিনি গ্রম্নপ দিবে ৭৩ হাজার টাকা মূল্যের ৩২ ইঞ্চি এলসিডি টিভি।

এ ছাড়া এরামেক্স এক্সপ্রেস ফিফটির জন্য ৫০ হাজার টাকা, দিয়া গোল্ড ম্যান অব দ্য ম্যাচ ৫০ হাজার টাকা, ডেসটিনি ডায়মন্ড সর্বোচ্চ ছক্কার জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং ডেসটিনি মোস্ট ইকনোমি বোলারের জন্য থাকছে ৩০ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার।

Source: DITTQ

NCLt20 final today | A lot of Prizes waiting

NCL t20 final is going to be played today. Rajshahi Rangers will face against Khulna Kings.
এক কোটি ৫০ লাখ টাকার ডেসটিনি গ্রম্নপের স্পন্সর শীপে আয়োজিত এ আসরের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ পুরস্কার ছাড়াও ক্রিকেটাররা পাবে ব্যক্তিগত পুরস্কার। টুর্নামেনেটর মোস্ট ভেল্যুয়েবল ক্রিকেটার কাদেরাবাদ ডেভলপারর্সের কাছে থেকে পাবে ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের সিডান গাড়ী, ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টকে সিটি ব্যাংক দিচ্ছি নগদ ১ লাখ টাকা, সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীকে ওয়াল্টন দিচ্ছে ১২৫ সিসি’র ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের মোটর সাইকেল, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীকে ডেসটিনি গ্রম্নপ দিবে ৭৩ হাজার টাকা মূল্যের ৩২ ইঞ্চি এলসিডি টিভি।

এ ছাড়া এরামেক্স এক্সপ্রেস ফিফটির জন্য ৫০ হাজার টাকা, দিয়া গোল্ড ম্যান অব দ্য ম্যাচ ৫০ হাজার টাকা, ডেসটিনি ডায়মন্ড সর্বোচ্চ ছক্কার জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং ডেসটিনি মোস্ট ইকনোমি বোলারের জন্য থাকছে ৩০ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার।

Tamim Iqbal Injury issue


হাতের উল্টো পিঠে হাড়ের চিড়টা আরও বড় হয়েছে বলে আশঙ্কা করেছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে কাল পাওয়া এমআরআই আর স্ক্যান রিপোর্ট সুসংবাদই শোনাচ্ছে তামিম ইকবালকে। চোটটা তেমন গুরুতর নয়। ডাক্তার ও ফিজিও আশাবাদী, দুই-তিন দিনের মধ্যেই সেরে যাবে তা।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির শেষ ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ হাতের তালুর উল্টো দিকে চোট পেয়েছিলেন তামিম। পরশু আঘাতের স্থানে এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করানো হয়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করেছিলেন, পুরোনো হেয়ার ফ্র্যাকচারটাই বুঝি আরও গুরুতর রূপ নিয়েছে। সেটা হলে তিন থেকে চার সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে চলে যেতে হতো তামিমকে। কিন্তু কাল রিপোর্ট পাওয়ার পর আনন্দিত শোনাল প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের কণ্ঠস্বর, ‘রিপোর্ট বলছে, আগের চিড়টা বড় হয়নি। তবে বাঁ হাতের কবজির ওপরের দিকের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডাক্তার ও ফিজিও আশাবাদী, দুই-তিন দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে এটা।’
তার পরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে আগামীকাল আরও একবার পরীক্ষা করে দেখা হবে তামিমের বাঁ হাতের ইনজুরি।
Source: DPA

সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১০

Tamim Iqbal is Injured | Alok Kapali can be replaced

কারো ইনজুরি কাপালীর দলে ঢোকানোর জন্য যথেষ্ট। তার সুযোগ হতে পারে তামিমের ইনজুরি
তামিমের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা অনিশ্চিত বলেই জাতীয় দলে ফেরার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে অলোক কাপালীর। ক্লাসিক ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত কাপালীকে বিশ্বকাপের ৩০ জনের মধ্যে রাখা হলেও সেরা ১৫তে নেই। কিন্তু এনসিএলে কাপালী তার পারফর্মেন্স দিয়েই আবার প্রমাণ করেছেন ২০ ওভারের ম্যাচে এখনো সেরা খেলাটি খেলতে পারবেন তিনি। অমত্মত, জাতীয় দলের তামিম ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানদের তুলনায় এনসিএলে তার ব্যাটিং গড় ভালো। বিশ্বকাপের ১৫ জনের নাম যেহেতু ঘোষণা হয়েছে, এ কারণে তার জাতীয় দলে ঢোকা একটু কঠিন বলে মানছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান। তবে কারো ইনজুরি কাপালীর দলে ঢোকানোর জন্য যথেষ্ট। সেÿÿত্রে তার সুযোগ হতে পারে তামিমের ইনজুরি। এনসিএল খেলার সময় হাতে ব্যথা পেয়েছেন দেশের এই ওপেনার। ফিজিও জানিয়েছেন এই ইনজুরি কখনো অল্প সময়ে ভালো হয়, আবার দুই থেকে তিন সপ্তাহ লেগে যায়। ফিজিও হেনরি আরো জানান, তামিমের আগের জায়গায় আবার ব্যথা পেয়েছেন। ব্যথা সারতে সময় লাগবে। তবে তাকে আরো তিন-চারদিন দেখতে হবে। ৩ দিন পর তার ব্যাপারে সিদ্ধামত্ম নেয়া হবে। তামিম ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থান তেমন সুখকর হবে না যেটি ভালো করেই জানেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজ। এ কারণে তামিম খেলতে পারবেন কিনা সেটি এখুনি কিছু বলতে নারাজ। এমনকি ফিজিও আশাবাদী বিশ্বকাপে তামিম খেলবেন। তবে ইনজুরি যদি তাকে খেলতে না দেয় তাহলে বিকল্প হিসেবে অনেকের নাম আসতে পারে। সেÿÿত্রে হয়তো লিষ্টে এগিয়ে থাকবেন অলোক।

আইসিএল থেকে ফিরে ইতিমধ্যে আফতাব এখন জাতীয় দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেছেন। শাহরিয়ার নাফীসকে সুযোগ দিলেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এখন বাকি কাপালী, তবে ইংল্যান্ডের বিপÿÿ প্রাকটিস ম্যাচে তাকে খেলার প্রসত্মাব দেয়া হলেও তিনি নাকি তখন খেলতে চাননি বলে জানালেন এনায়েত হোসেন সিরাজ। তখন তার পারফর্মেন্স জাতীয় দলের দরজা হয়তো খুলে যেতে পারতো। এদিকে এনসিএলে তামিম এবং নাঈমের পাশাপাশি কাপালীও ৬ ম্যাচে ১৫৬ রান করেছেন, রান সংগ্রহকারীদের মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছেন। তার ফর্মই জাতীয় দলের পথটা অনেক সহজ করে দিয়েছে। সেÿÿত্রে অবশ্য ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান কিছু জানালেন না। ‘তামিম যদি কোন কারণে বিশ্বকাপে খেলতে না পারেন, নির্বাচকরা বিকল্প খেলোয়াড়ের তালিকা দিবে, আমরা যাচাই-বাছাই শেষে সেটির অনুমোদন দিব। তখন যদি ফর্মে থাকা কোন খেলোয়াড় বাদ পড়ে সেটি আমরা দেখবো’।

ক্রিকেট অপারশেন্স যদিও খুলে কিছু বলেননি, তবে ধারণা করা যাচ্ছে, তামিম সুস্থ না হলে হয়তো সেই জায়গাটি পূরণ করা হবে কাপালীকে দিয়ে। কারণ, এই মুহূর্তে তামিমের জায়গাটি কাপালী পূরণ করতে পারেন। তার জন্য অপেÿা করতে হবে আগামী শুক্রবার পর্যমত্ম। সেদিনই বাংলাদেশের এই ওপেনারের বিষয়ে ফায়সালা হবে, আর পরের দিন শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে বাংলাদেশ দল।

এমন নিরামিশ সেমিফাইনাল বোধ হয় কেউ প্রত্যাশা করেনি



টি-টোয়েন্টির উত্তাপের দেখা যায়নি প্রথম সেমিফাইনালেও, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞদের নিয়ে গড়া সিলেট সুলতানের ব্যাটিং ঝড়ও হয়তো টিম ম্যানেজমেনেটর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম পর্যমত্ম সীমাবদ্ধ ছিল। সেমিফাইনালের আগ পর্যমত্ম সিলেট সুলতানের ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিংয়ের যে ঝড় দেখিয়েছেন তাতে এমন নিরামিশ সেমিফাইনাল বোধ হয় কেউ প্রত্যাশা করেনি। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টি-টোয়েন্টির মেজাজ প্রথম ম্যাচের তুলনায় কিছুটা ফুটে উঠেছে। তারপরও আশরাফুল নাঈমদের মত মারকুটে ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও এমন মরা ম্যাচ দেখতে হবে দর্শকদের যা তারাও ভাবেনি।

সিলেটের শক্তিকে খর্ব করে কাল খুলনা এনসিএলের টি-টোয়েন্টির ফাইনাল জায়গা করে নিল, আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী হয়ে রাজশাহী ফাইনালে জায়গা করে নেয়। খুলনার বিষয়টি বলতে গেলে একটু আলাদা, সেমিফাইনালের আগে তাদের মরা পারফর্মেন্সে টিকে থাকাটাই যেখানে দায় হয়েছিল, সেখানে কাল সিলেটকে ১৩১ রানে বেঁধে ফেলে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে চলে গেল ফাইনালে। সিলেটের মেয়র বদরম্নদ্দিন কামরানের উপস্থিতিতেও মাশরাফি পারেননি তার দলকে প্রথম সেমিফাইনালের ফাইনালে উঠাতে।

বরাবরের মত কালও সাকিব ব্যাট হাতে ব্যর্থ এই টুর্নামেন্টে তিনি বোধ হয় পণ করেছেন রান করবেন না। না হলে ১৩১ রানের মামুলি স্কোর সত্ত্বেও জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে কেন তিনি ওমন করে শট খেলতে গেলেন। দল জিতেছে ৬ উইকেটে; কিন্তু সেটির ব্যবধান আরেকটু বড় হতে পারতো। তার মতই ভুল করেছেন অলোক কাপালী। খুলনার অধিনায়ক সাকিবের বলের ফাঁদে পা ফেলে এগিয়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্প হয়ে পুরো দলকে ডুবিয়েছেন তিনি। শ্রীলংকান নুয়ান জয়সা দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়ে সিলেটের ব্যাটিং লাইন আপ ভেঙ্গে দিয়েছেন। বড় একটি পার্টনারশীপের প্রয়োজন হলেও ধীমান লেগ সাইডে বল খেলতে গিয়ে এলবি হন রাজ্জাকের প্রথম স্পেলের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে। তবে ৫২ রানের একটি পার্টনারশীপ হয়েছে ফরহাদ রেজা এবং ইন্ডিকার কারণে। রাজ্জাকের তৃতীয় ওভারে দুই চার ও ১ ছক্কায় ১৭ রান নিয়ে সিলেটকে সেঞ্চুরি রানে পৌঁছে দেন ১৫.৫ ওভারে। ফরহাদ আলাউদ্দিন বাবুর বলটি উঠিয়ে মারতে গিয়ে পয়েন্টে সাকিবের হাতে ধরা পড়ার আগে দলকে মূল্যবান ৪৩ রান দিয়ে যান। শেষদিকে ছক্কা মিলন ছক্কা না পাওয়ায় এবং অধিনায়ক মাশরাফি রানের পিছনে ছুটতে গিয়ে ১৫ বলে ১৫ রান করায় দলের স্কোর ১৪০-এ যেতে পারেনি। ১৩১ রানে আটকে থেকে খুলনা কিংসকে টার্গেট দেয় ১৩২ রানে।

তবে খুলনাও যে বেশ সহজে জয় পেয়েছে তা নয়। খেলা শেষ হওয়ার দুই বল বাকি থাকতে খুলনা জয় পায়। অথচ টি-টোয়েন্টির প্রতি ওভারেই তারা রানের জন্য যুদ্ধ করেছে। ৫ ওভারে ৪০, ১০ ওভারে ৫৮ রান এভাবে স্কোরের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন শ্রীলংকান মাহেলা লকমল এবং ইমরম্নল কায়েস। তবে এই দুইজনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিটি খুলনাকে জয় পাইয়ে দেয়। বিশেষ করে ওপেনিংয়ে নেমে যে বুদ্ধির ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়েছেন, ফরহাদের থ্রোতে রান আউট হবার আগে ৩৬ বলে ৩৮ রান বলে দিচ্ছে মাহেলার ইনিংসটি কতটা গুরম্নত্বপূর্ণ ছিল। ম্যাচসেরাও তিনি হন। বলতে গেলে ভঙ্গুর খুলনাকে ফাইনালে উঠানোর সব কৃতিতব মাহেলার, অধিনায়ক সাকিবের নয়।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে প্রথমে ব্যাটিং-এ নেমে রাজশাহী ২০ ওভারে রান করে ৬ উইকেটে ১৪২। আলদ্বীন সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন। আর নাঈম করেন ৩১। ঢাকার তাপস বৈষ্য ১৭ রানে ২ উইকেট নেন। জবাবে জয়ের জন্য ১৪৩ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে লিগ পর্বে অপরাজিত আশরাফুলের ঢাকা ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় খেলার ১ বল বাকি থাকতে। মোহাম্মদুলস্না সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন। সাইফুল, নাঈম ২টি করে উইকেট নেন। ব্যাটিং ও বলিং নৈপুণ্য প্রদর্শন করে ম্যাচ সেরা হন নাঈম ইসলাম।

NCLt20 Final | Rajshahi Facing Khulna

NCLt20 Final | Rajshahi Facing Khulna
Khulna Kings beat strong Sylhet Sultans in the first semifinal and Rajshahi Rangers beat top favorite Dhaka dynamites in the second semifinal to reach into the final of first NCLt20. But the batting collapse did not improve today’s matches too. It has been an issue of worry for Bangladesh as the world cup t20 is knocking at the door. Rajshahi Division won by 12 runs (Full Scorecard) & Khulna Division won by 6 wickets (Full Scorecard).

রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১০

Photos of NCLt20 | Image of NCLt20


















Barisal Division v Khulna Division

Barisal Division v Khulna Division
Khulna Kings beat Barishal Blazers by 45 runs
• Twenty20 match | 2009/10 season
• Played at Shere Bangla National Stadium, Mirpur
• 18 April 2010 (20-over match)

Khulna Division innings (20 overs maximum) R M B 4s 6s SR
DNT Zoysa
c Kulatunga b Syed Rasel 10 13 13 1 0 76.92

ML Udawatte
c Mahmudul Hasan b Monir Hossain 26 29 18 3 1 144.44

Mithun Ali†
b Syed Rasel 1 3 2 0 0 50.00

Imrul Kayes
c Arafat Sunny b Sabbir Rahman 36 36 33 3 0 109.09

Farhad Hossain
b Sabbir Rahman 5 14 9 0 0 55.55

Shakib Al Hasan*
lbw b Sabbir Rahman 0 1 1 0 0 0.00

Tushar Imran
b Arafat Sunny 6 8 9 0 0 66.66

Elias Sunny
c Mahmudul Hasan b Arafat Sunny 3 5 5 0 0 60.00

Dolar Mahmud
not out 30 24 18 2 2 166.66

Abdur Razzak
c Kulatunga b Syed Rasel 11 13 9 2 0 122.22

Alauddin Babu
run out (Arafat Sunny) 8 5 3 0 1 266.66

Extras (w 3) 3

Total (all out; 20 overs) 139 (6.95 runs per over)
Fall of wickets1-23 (Zoysa, 3.3 ov), 2-25 (Mithun Ali, 3.6 ov), 3-43 (Udawatte, 6.3 ov), 4-61 (Farhad Hossain, 9.5 ov), 5-61 (Shakib Al Hasan, 9.6 ov), 6-77 (Tushar Imran, 12.6 ov), 7-87 (Elias Sunny, 14.3 ov), 8-92 (Imrul Kayes, 15.5 ov), 9-128 (Abdur Razzak, 18.5 ov), 10-139 (Alauddin Babu, 19.6 ov)


Bowling O M R W Econ
Mahmudul Hasan
3 0 24 0 8.00

Syed Rasel
4 0 24 3 6.00 (1w)

Monir Hossain
3 0 21 1 7.00 (1w)

Ziaur Rahman
2 0 26 0 13.00

Sabbir Rahman
4 0 19 3 4.75

Arafat Sunny
4 0 25 2 6.25 (1w)


Barisal Division innings (target: 140 runs from 20 overs) R M B 4s 6s SR
Nazimuddin
c Shakib Al Hasan b Zoysa 1 8 6 0 0 16.66

Saghir Hossain†
st †Mithun Ali b Shakib Al Hasan 14 14 13 3 0 107.69

Shahriar Nafees*
lbw b Abdur Razzak 21 36 31 1 0 67.74

Raqibul Hasan
run out (Tushar Imran) 1 4 4 0 0 25.00

HGJM Kulatunga
b Shakib Al Hasan 23 29 20 3 0 115.00

Mahmudul Hasan
c Farhad Hossain b Abdur Razzak 6 11 10 0 0 60.00

Sabbir Rahman
lbw b Abdur Razzak 3 9 6 0 0 50.00

Ziaur Rahman
c Farhad Hossain b Dolar Mahmud 9 11 10 0 1 90.00

Arafat Sunny
b Alauddin Babu 5 19 5 0 0 100.00

Syed Rasel
c †Mithun Ali b Alauddin Babu 5 6 4 0 0 125.00

Monir Hossain
not out 1 2 1 0 0 100.00

Extras (lb 1, w 2, nb 2) 5

Total (all out; 18 overs) 94 (5.22 runs per over)
Fall of wickets1-8 (Nazimuddin, 2.1 ov), 2-17 (Saghir Hossain, 3.1 ov), 3-24 (Raqibul Hasan, 4.3 ov), 4-59 (Shahriar Nafees, 11.5 ov), 5-65 (Kulatunga, 12.4 ov), 6-72 (Mahmudul Hasan, 14.5 ov), 7-72 (Sabbir Rahman, 14.6 ov), 8-86 (Ziaur Rahman, 16.6 ov), 9-92 (Syed Rasel, 17.5 ov), 10-94 (Arafat Sunny, 17.6 ov)


Bowling O M R W Econ
DNT Zoysa
4 0 17 1 4.25 (2w)

Shakib Al Hasan
3 0 16 2 5.33

Farhad Hossain
3 0 18 0 6.00

Abdur Razzak
4 0 17 3 4.25

Elias Sunny
1 0 3 0 3.00

Alauddin Babu
2 0 13 2 6.50 (2nb)

Dolar Mahmud
1 0 9 1 9.00

Match details
Toss Barisal Division, who chose to field
Points Khulna Division 2, Barisal Division 0

Player of the match Abdur Razzak (Khulna Division)

শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১০

যারা এনসিএলে রান পায়নি, তারা বিশ্বকাপে রান পাবে বলে আমি মনে করি - সাকিব


এনসিএলে জাতীয় দল এবং খুলনা কিংসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের স্কোর আহামরি নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পারফর্মেন্স নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান না পেলেও আমত্মর্জাতিক অঙ্গনে সাকিবের ব্যাটে রানের ফুলঝুরি ফুটে, যেটি সব সময় অধিনায়ককে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এবারেও যখন খুলনাকে ভালো স্কোর এনে দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন, তখনো তিনি বলে যাচ্ছেন, আমার বিশ্বাস আমত্মর্জাতিক অঙ্গনে আমি পারফর্ম করতে পারবো। তবে কেন ঘরোয়া ক্রিকেটে রান পাচ্ছেন না সেটি নিয়ে তিনি নিজেও বেশ চিমিত্মত।

কাল সিলেটের কাছে ৩৭ রানে হারার পিছনে তার ফর্ম খরা বিরাট একটি কারণ। খুলনার এই হার ঠেলে দিয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে, আজ বরিশালের বিপÿÿ ডু অর ডাই ম্যাচে না জিতলে কোটি টাকার দল খুলনাকেও হয়তো সাইড লাইনে বসে সেমিফাইনালের ম্যাচ দেখতে হবে। কিন্তু সাকিব জানালেন, মাঠের পারফর্মেন্সই বলে দিবে কে যাবে এনসিএলের সেমিফাইনালে।

খুলনাকে ভালো স্কোর দিতে ব্যর্থ হওয়া সাকিবের পারফর্মেন্স নিয়ে তিনি নিজে যেমন চিমিত্মত নন, তেমনি এনসিএলের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জাতীয় দলের অন্য খেলোয়াড়রাও রান পাচ্ছেননা বলেও সেটি নিয়েও ভাবছেন না। এর কারণ হিসেবে বললেন, ঘরোয়া ক্রিকেট আর আমত্মর্জাতিক ক্রিকেট এক নয়। যারা এনসিএলে রান পাচ্ছেন না তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঠিকই রান পাবে বলে তার বিশ্বাস। বিষয়টির সাথে একমত সিলেটের অধিনায়ক এবং জাতীয় দলের স্ট্রাইক বোলার মাশরাফি বিন মুর্তজা। দেখুন, যারা এনসিএলে রান পায়নি, তারা বিশ্বকাপে রান পাবে বলে আমি মনে করি। সেখানকার কন্ডিশন আলাদা। মাশরাফি, তামিম এবং ইমরম্নল কায়েস ছাড়া জুনায়েদ, রিয়াদ, নাঈমসহ জাতীয় দলের আর কেউ ফর্মে নেই। বিষয়টি আরো ভাবিয়ে তুলছে অধিনায়ক সাকিবের অফফর্মে থাকার কারণে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে সাকিব রান না পেলেও বিশ্বকাপে ঠিকই রান পাবেন তিনি। ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রম্নপে আমরা, তারপরও আমরা একটি ম্যাচ জিততে পারবো বলে আমি মনে করছি। আর প্রিমিয়ার লীগে রান না পাওয়ার পরও আমত্মর্জাতিক ম্যাচে রান পেয়েছিলাম’।

সাকিবের আত্মবিশ্বাসের কণ্ঠে অবশ্য তেমন একটা আশাবাদী হওয়া যায় না। ইংল্যান্ডে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে সম্মানের সবটুকুই হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ, আর এবার অস্ট্রেলিয়া ও পাকিসত্মান গ্রম্নপে রয়েছে। বেশ ঘাম ঝরাতে হবে এবারের বিশ্বকাপে।

সুপার এইটে উঠতে বেশ কঠিন হবে বলেই ইংল্যান্ড সফরের সময় তিনটি প্রাকটিস ম্যাচ রাখা হয়েছে বাংলাদেশের। যদি বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠে, তবে সেগুলো বাতিল হবে। সুপার এইট থেকে বিদায় নিবে বলেই অনেকটা নিশ্চিত হওয়ায় ইংল্যান্ডের বিপÿÿ সিরিজ শুরম্নর আগে প্রাকটিস ম্যাচ খেলছেন সাকিবরা। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে পিসিএল এবং এনসিএলকে প্রসত্মুতির টুর্নামেন্ট ধরেও আসলে কতটুকু উপকার হয়েছে সাকিবদের, সেটি এনসিএলের সেমিফাইনালের আগেই পরিষ্কার হচ্ছে।

খুলনা কোটি টাকা দিয়ে টিম কিনে নিলেও তারকা ও মেগা আইকন সাকিব একেবারে ফ্লপ। যেমনটি প্রিমিয়ার লীগে আবাহনীর হয়ে খেলেও অফফর্মে ছিলেন তিনি। আমত্মর্জাতিক ম্যাচে দারম্নণ খেলা সাকিবের জন্য বিষয়টি মানাটা দিনে দিনে কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বের অন্য দেশের খেলোয়াড়রা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলার পর আমত্মর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরার প্রয়াস পায় সেখানে সাকিবের বেলায় ঘটছে উল্টো। সাবেক এক খেলোয়াড়ের মতে, সাকিব সহ সব জাতীয় দলের খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেটে অমত্মর্ভুক্ত করা উচিত। তারা আমত্মর্জাতিক ম্যাচের দিকে বেশি ঝুলছে বিধায় ঘরোয়া ক্রিকেটের সাথে তাল মেলাতে পারে না যা ভবিষ্যতে খারাপ হয়। এ কারণে বিসিবির সিডিউলে আমত্মর্জাতিক ম্যাচের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার এমনভাবে তৈরি করা উচিত যাতে জাতীয় দলের সব খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারেন।

Dhaka Division vs Rajshahi Division

Dhaka Division v Rajshahi Division
Dhaka Division won by 8 wickets (with 30 balls remaining)
• Twenty20 match | 2009/10 season
• Played at Shere Bangla National Stadium, Mirpur
• 17 April 2010 (20-over match)

Rajshahi Division innings (20 overs maximum) R M B 4s 6s SR
AC Blizzard
lbw b Shahadat Hossain 0 1 1 0 0 0.00

Hannan Sarkar
c Mahmudullah b Shahadat Hossain 0 5 1 0 0 0.00

Anisur Rahman
b Mohammad Rafique 6 16 16 1 0 37.50

Naeem Islam
c Mahmudullah b Mohammad Shahzada 26 65 56 1 0 46.42

Nadif Chowdhury
run out (Shahadat Hossain) 0 8 1 0 0 0.00

Shuvagoto Hom
lbw b Mohammad Rafique 0 2 2 0 0 0.00

Suhrawadi Shuvo
c Mohammad Ashraful b Mohammad Shahzada 33 28 35 2 0 94.28

Mukhtar Ali
not out 15 11 7 2 0 214.28

Khaled Mashud*†
not out 1 4 2 0 0 50.00

Extras (w 1, nb 1) 2


Total (7 wickets; 20 overs) 83 (4.15 runs per over)
Did not bat Taposh Ghosh, Sanjamul Islam

Fall of wickets1-0 (Blizzard, 0.1 ov), 2-1 (Hannan Sarkar, 0.6 ov), 3-7 (Anisur Rahman, 3.5 ov), 4-8 (Nadif Chowdhury, 5.2 ov), 5-8 (Shuvagoto Hom, 5.4 ov), 6-64 (Naeem Islam, 17.5 ov), 7-77 (Suhrawadi Shuvo, 19.1 ov)


Bowling O M R W Econ
Shahadat Hossain
4 0 13 2 3.25 (1nb)

Mohammad Rafique
4 2 6 2 1.50

Nabil Samad
4 0 11 0 2.75

Mohammad Ashraful
2 0 9 0 4.50

SHT Kandamby
1 0 13 0 13.00 (1w)

Mahmudullah
2 0 12 0 6.00

Mehrab Hossain jnr
1 0 5 0 5.00

Mohammad Shahzada
2 0 14 2 7.00


Dhaka Division innings (target: 84 runs from 20 overs) R M B 4s 6s SR
Shamsur Rahman
c †Khaled Mashud b Taposh Ghosh 18 31 32 1 0 56.25

SHT Kandamby
not out 43 50 39 3 2 110.25

Jahurul Islam†
lbw b Sanjamul Islam 1 3 2 0 0 50.00

Mahmudullah
not out 20 14 17 2 1 117.64

Extras (w 2) 2


Total (2 wickets; 15 overs) 84 (5.60 runs per over)
Did not bat Mohammad Ashraful*, BMAJ Mendis, Mehrab Hossain jnr, Mohammad Rafique, Nabil Samad, Mohammad Shahzada, Shahadat Hossain

Fall of wickets1-54 (Shamsur Rahman, 9.6 ov), 2-57 (Jahurul Islam, 10.5 ov)


Bowling O M R W Econ
Suhrawadi Shuvo
3 0 12 0 4.00

Naeem Islam
3 0 12 0 4.00

Sanjamul Islam
4 0 24 1 6.00

Taposh Ghosh
4 0 26 1 6.50 (2w)

AC Blizzard
1 0 10 0 10.00

Match details
Toss Rajshahi Division, who chose to bat
Points Dhaka Division 2, Rajshahi Division 0

Twenty20 debuts Mohammad Shahzada (Dhaka Division); Anisur Rahman and Taposh Ghosh (Rajshahi Division)
Player of the match Shahadat Hossain (Dhaka Division)
Umpires AFM Akhtaruddin and Tanvir Ahmed
Match referee Raqibul Hasan

Khulna Division v Sylhet Division

Khulna Division v Sylhet Division
Sylhet Division won by 37 runs
• Twenty20 match | 2009/10 season
• Played at Shere Bangla National Stadium, Mirpur
• 17 April 2010 (20-over match)

Sylhet Division innings (20 overs maximum) R M B 4s 6s SR
Gazi Salahuddin
b Abdur Razzak 42 49 39 5 1 107.69

K Weeraratne
c Shakib Al Hasan b Dolar Mahmud 47 40 32 7 1 146.87

SI de Saram
b Abdur Razzak 12 16 12 0 0 100.00

Alok Kapali
c Farhad Hossain b Shakib Al Hasan 7 15 13 0 0 53.84

Mashrafe Mortaza*
c & b Elias Sunny 1 4 3 0 0 33.33

Nazmul Hossain Milon
not out 28 19 15 2 2 186.66

Farhad Reza
c & b Shakib Al Hasan 2 6 4 0 0 50.00

Dhiman Ghosh†
c Alauddin Babu b Dolar Mahmud 2 4 3 0 0 66.66

Mosharraf Hossain
run out 0 1 0 0 0 -

Fariduddin
not out 1 1 1 0 0 100.00

Extras (lb 2, w 4, nb 2) 8


Total (8 wickets; 20 overs) 150 (7.50 runs per over)
Did not bat Saju Datta

Fall of wickets1-86 (Weeraratne, 9.6 ov), 2-102 (Gazi Salahuddin, 12.4 ov), 3-111 (de Saram, 14.5 ov), 4-115 (Mashrafe Mortaza, 15.6 ov), 5-117 (Alok Kapali, 16.4 ov), 6-135 (Farhad Reza, 18.4 ov), 7-147 (Dhiman Ghosh, 19.5 ov), 8-149 (Mosharraf Hossain, 19.5 ov)


Bowling O M R W Econ
DNT Zoysa
2 0 21 0 10.50 (1w)

Dolar Mahmud
3 0 31 2 10.33 (2nb, 1w)

Farhad Hossain
3 0 21 0 7.00

Shakib Al Hasan
4 0 29 2 7.25

Abdur Razzak
4 0 19 2 4.75 (1w)

Elias Sunny
4 0 27 1 6.75 (1w)


Khulna Division innings (target: 151 runs from 20 overs) R M B 4s 6s SR
Imrul Kayes
c Farhad Reza b Fariduddin 19 29 19 2 0 100.00

ML Udawatte
st †Dhiman Ghosh b Fariduddin 12 13 9 1 1 133.33

Shakib Al Hasan*
c Weeraratne b Mosharraf Hossain 15 26 19 1 0 78.94

Mithun Ali†
st †Dhiman Ghosh b Fariduddin 0 2 1 0 0 0.00

Farhad Hossain
st †Dhiman Ghosh b Saju Datta 26 36 34 1 0 76.47

Tushar Imran
st †Dhiman Ghosh b Saju Datta 20 23 23 0 1 86.95

Dolar Mahmud
c Alok Kapali b Mashrafe Mortaza 3 5 3 0 0 100.00

Alauddin Babu
not out 6 9 9 0 0 66.66

DNT Zoysa
not out 8 7 3 0 1 266.66

Extras (lb 3, w 1) 4


Total (7 wickets; 20 overs) 113 (5.65 runs per over)
Did not bat Elias Sunny, Abdur Razzak

Fall of wickets1-26 (Udawatte, 3.2 ov), 2-45 (Imrul Kayes, 7.1 ov), 3-46 (Mithun Ali, 7.3 ov), 4-53 (Shakib Al Hasan, 10.2 ov), 5-92 (Tushar Imran, 17.1 ov), 6-99 (Farhad Hossain, 17.5 ov), 7-101 (Dolar Mahmud, 18.2 ov)


Bowling O M R W Econ
Mashrafe Mortaza
3 0 20 1 6.66

K Weeraratne
2 0 17 0 8.50

Fariduddin
4 0 16 3 4.00 (1w)

Alok Kapali
3 0 12 0 4.00

Mosharraf Hossain
4 0 25 1 6.25

Saju Datta
4 0 20 2 5.00

Match details
Toss Sylhet Division, who chose to bat
Points Sylhet Division 2, Khulna Division 0

Twenty20 debut Gazi Salahuddin (Sylhet Division)
Player of the match Fariduddin (Sylhet Division)

Barishal Blazers vs Sylhet Sultan

Barisal Division v Sylhet Division
Sylhet Division won by 4 wickets (with 5 balls remaining)
• Twenty20 match | 2009/10 season
• Played at Shere Bangla National Stadium, Mirpur
• 16 April 2010 - day/night (20-over match)

Barisal Division innings (20 overs maximum) R M B 4s 6s SR
Nazimuddin
st †Dhiman Ghosh b Saju Datta 10 28 15 0 0 66.66

HGJM Kulatunga
c Nazmul Hossain Milon b Mosharraf Hossain 26 18 17 2 1 152.94

Shahriar Nafees*
c de Saram b Fariduddin 20 30 27 1 0 74.07

Raqibul Hasan
b Mosharraf Hossain 16 17 11 1 1 145.45

PBB Rajapaksa
lbw b Saju Datta 8 12 11 0 0 72.72

Ziaur Rahman
c Mashrafe Mortaza b Fariduddin 2 11 5 0 0 40.00

Mahmudul Hasan
c Mosharraf Hossain b Alok Kapali 1 6 5 0 0 20.00

Sabbir Rahman
run out (Fariduddin) 2 10 5 0 0 40.00

Saghir Hossain†
c †Dhiman Ghosh b Mashrafe Mortaza 21 19 14 1 1 150.00

Syed Rasel
not out 6 12 6 0 0 100.00

Monir Hossain
run out (†Dhiman Ghosh) 1 5 3 0 0 33.33

Extras (lb 2, w 4) 6


Total (all out; 19.5 overs) 119 (6.00 runs per over)
Fall of wickets1-33 (Kulatunga, 4.4 ov), 2-44 (Nazimuddin, 6.6 ov), 3-73 (Raqibul Hasan, 11.4 ov), 4-75 (Shahriar Nafees, 12.3 ov), 5-83 (Rajapaksa, 13.4 ov), 6-88 (Ziaur Rahman, 14.4 ov), 7-89 (Mahmudul Hasan, 15.4 ov), 8-102 (Sabbir Rahman, 16.6 ov), 9-115 (Saghir Hossain, 18.5 ov), 10-119 (Monir Hossain, 19.5 ov)


Bowling O M R W Econ
Mashrafe Mortaza
3 0 13 1 4.33

SI de Saram
2 0 16 0 8.00

Mosharraf Hossain
4 0 30 2 7.50

Farhad Reza
2.5 0 19 0 6.70 (1w)

Saju Datta
4 0 20 2 5.00 (1w)

Fariduddin
3 0 14 2 4.66 (2w)

Alok Kapali
1 0 5 1 5.00


Sylhet Division innings (target: 120 runs from 20 overs) R M B 4s 6s SR
K Weeraratne
b Mahmudul Hasan 17 21 17 2 0 100.00

Dhiman Ghosh†
c Mahmudul Hasan b Syed Rasel 9 14 9 1 0 100.00

SI de Saram
not out 39 66 39 3 0 100.00

Alok Kapali
st †Saghir Hossain b Monir Hossain 5 12 10 0 0 50.00

Ariful Haque
run out (Monir Hossain) 0 1 1 0 0 0.00

Farhad Reza
b Ziaur Rahman 13 16 16 0 0 81.25

Mashrafe Mortaza*
run out (Syed Rasel) 18 22 20 2 0 90.00

Nazmul Hossain Milon
not out 9 6 4 0 1 225.00

Extras (b 3, w 6, nb 1) 10


Total (6 wickets; 19.1 overs) 120 (6.26 runs per over)
Did not bat Mosharraf Hossain, Fariduddin, Saju Datta

Fall of wickets1-20 (Dhiman Ghosh, 2.6 ov), 2-30 (Weeraratne, 6.1 ov), 3-46 (Alok Kapali, 8.2 ov), 4-46 (Ariful Haque, 8.3 ov), 5-78 (Farhad Reza, 12.6 ov), 6-108 (Mashrafe Mortaza, 18.1 ov)


Bowling O M R W Econ
Syed Rasel
4 0 34 1 8.50 (1nb)

Mahmudul Hasan
3.1 0 10 1 3.15

Monir Hossain
4 0 13 1 3.25

Ziaur Rahman
4 0 29 1 7.25 (1w)

Sabbir Rahman
4 0 31 0 7.75 (1w)

Match details
Toss Barisal Division, who chose to bat
Points Sylhet Division 2, Barisal Division 0

Twenty20 debuts Monir Hossain (Barisal Division); Saju Datta (Sylhet Division)
Player of the match SI de Saram (Sylhet Division)

Dhaka Dynamites vs Chittagong Cyclone

Dhaka Division won by 17 runs
• Twenty20 match | 2009/10 season
• Played at Shere Bangla National Stadium, Mirpur
• 16 April 2010 (20-over match)

Dhaka Division innings (20 overs maximum) R M B 4s 6s SR
Shamsur Rahman
c †Uttam Sarkar b Saqlain Sajib 25 30 19 3 1 131.57

Mohammad Ashraful*
b Kamrul Islam 20 18 14 4 0 142.85

Jahurul Islam†
c Tamim Iqbal b Saqlain Sajib 14 19 13 2 0 107.69

BMAJ Mendis
b Kamrul Islam 32 33 28 3 1 114.28

Mahmudullah
b Rubel Hossain 22 21 16 1 1 137.50

Mehrab Hossain jnr
b Rubel Hossain 15 28 13 1 1 115.38

TAM Siriwardana
b Rubel Hossain 7 11 9 0 0 77.77

Mohammad Rafique
b Rubel Hossain 0 2 1 0 0 0.00

Mahbubul Alam
c sub (Tanveer Haider) b Enamul Haque jnr 4 3 4 0 0 100.00

Emon Ahmed
not out 9 6 3 0 1 300.00

Nabil Samad
b Rubel Hossain 0 2 1 0 0 0.00

Extras (w 7) 7


Total (all out; 20 overs) 155 (7.75 runs per over)
Fall of wickets1-37 (Mohammad Ashraful, 4.2 ov), 2-56 (Shamsur Rahman, 6.4 ov), 3-63 (Jahurul Islam, 8.2 ov), 4-113 (Mahmudullah, 14.1 ov), 5-117 (Mendis, 15.2 ov), 6-136 (Siriwardana, 16.3 ov), 7-136 (Mohammad Rafique, 16.4 ov), 8-144 (Mahbubul Alam, 18.5 ov), 9-155 (Mehrab Hossain jnr, 19.5 ov), 10-155 (Nabil Samad, 20.0 ov)


Bowling O M R W Econ
Kamrul Islam
4 0 28 2 7.00 (1w)

Rubel Hossain
4 0 32 5 8.00

Enamul Haque jnr
4 0 31 1 7.75 (1w)

Saqlain Sajib
4 0 38 2 9.50

Nasir Hossain
4 0 26 0 6.50 (1w)


Chittagong Division innings (target: 156 runs from 20 overs) R M B 4s 6s SR
Uttam Sarkar†
c Mendis b Mahbubul Alam 8 8 8 0 1 100.00

Aftab Ahmed
c Mendis b Siriwardana 14 26 11 2 0 127.27

Nafees Iqbal*
c Mahmudullah b Mohammad Rafique 9 11 13 2 0 69.23

Tamim Iqbal
c Mendis b Mohammad Ashraful 23 35 24 0 1 95.83

Faisal Hossain
c Mehrab Hossain jnr b Mohammad Ashraful 43 38 37 3 1 116.21

Marshall Ayub
run out (†Jahurul Islam) 20 23 12 2 1 166.66

Nasir Hossain
c Siriwardana b Mohammad Ashraful 1 2 2 0 0 50.00

Kamrul Islam
run out (†Jahurul Islam) 4 12 8 0 0 50.00

Rubel Hossain
not out 3 6 6 0 0 50.00

Extras (b 1, lb 1, w 10, nb 1) 13


Total (8 wickets; 20 overs) 138 (6.90 runs per over)
Did not bat Enamul Haque jnr, Saqlain Sajib

Fall of wickets1-13 (Uttam Sarkar, 1.3 ov), 2-33 (Nafees Iqbal, 4.3 ov), 3-39 (Aftab Ahmed, 5.4 ov), 4-94 (Tamim Iqbal, 13.5 ov), 5-113 (Faisal Hossain, 16.1 ov), 6-114 (Nasir Hossain, 16.4 ov), 7-132 (Marshall Ayub, 18.2 ov), 8-138 (Kamrul Islam, 20.0 ov)


Bowling O M R W Econ
Mohammad Rafique
4 1 27 1 6.75 (1w)

Mahbubul Alam
3 0 21 1 7.00 (1w)

TAM Siriwardana
3 0 29 1 9.66 (3w)

Mahmudullah
4 0 28 0 7.00 (1nb, 1w)

Emon Ahmed
2 0 9 0 4.50

Mohammad Ashraful
4 0 22 3 5.50

Match details
Toss Chittagong Division, who chose to field
Points Dhaka Division 2, Chittagong Division 0

Twenty20 debut Emon Ahmed (Dhaka Division)
Player of the match Rubel Hossain (Chittagong Division)

বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১০

Will the authority think about Alok Kapali for T20 World Cup 2010?


Kapali played an exclusive innings of 62 from 38 balls for ensuring win against Rajshahi in a very important game of NCLt20.
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি অলোক কাপালীর, অথচ নিষিদ্ধ ঘোষিত আইসিএলে ঢাকা ওয়ারিয়র্সের পতাকা উড়েছিল এই কাপালীর হাত ধরেই। কিন্তু আইসিএল থেকে ফিরে জাতীয় দলে জায়গা না পাওয়া কাপালী আবারো কাল নিজের টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটা আরেকবার চেনালেন। যদিও চারদিনের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন রাজশাহীর শুভগত হোমের তান্ডবে কাপালীর চমৎকার ইনিংসও মস্নান হয়ে যাচ্ছিল, সেখান থেকে বলতে গেলে সিলেট সুলতানকে বাঁচিয়েছেন ফরিদউদ্দিন মাসুদ। রাজশাহী রেঞ্জার্সের দুই ওপেনার ছাড়াও টি-টোয়েন্টির ছক্কা নাঈমকে ফিরিয়েছেন তিনি। আর এক প্রকার ম্যাচ জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যমত্ম সিলেটের কাছে ২৬ রানে হেরে সেমিফাইনালের লাইমলাইটটি এখনো ঝুলমত্ম অবস্থায় খালেদ মাসুদ পাইলটদের।

জাতীয় লীগের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েছে চট্টগ্রাম, বাকি এক দলের বাদ পড়া নিশ্চিত হবে আজ, অন্যদিকে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে বেশ জমে উঠেছে বাকি পাঁচ দলের শক্তির যুদ্ধে। যে যুদ্ধে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি ভেঙ্গে গেল রাজশাহীর। আগের দুই ম্যাচে টানা জেতার পর কালই প্রথম হেরে গেছে মাসুদের দল।

এনসিএলে সর্বোচ্চ স্কোর ১৮২ করার পর এক প্রকার ম্যাচটি হেলে যায় সিলেটের প্রতি। ৬৮ রানে টপ চার অর্ডার ফিরে যাওয়ার পর ম্যাচ বাঁচানোর শক্তি হারিয়ে ফেলে রাজশাহী। তবে শুভগত হোমের ঝড়ো ব্যাটিং স্বপ্ন দেখাচ্ছিল রাজশাহীকে। মোশররফ হোসেন রম্নবেল এসে তাকে রান আউট না করলে হয়তো এবারের লীগে সর্বোচ্চ স্কোর করেও হারতে হত মাশরাফির দলকে। ৬৮ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর মাত্র ৬.৫ ওভার ক্রিজে থেকে ২৪ বলে সিলেটের বোলারদের উপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন তিনি। শুভগত হোম মূলত চারদিনের ম্যাচ ভালো খেলে থাকেন, চারদিনের ৭টি ম্যাচ খেলেছেন করেছেন ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরি। কাল যখন ৪টি ছয় মারলেন, ঠিক যেমন শুভগত হোমের ব্যাটিং স্টাইলের সাথে মানানসই মনে হচ্ছিল না। তবে ১৩৬ রানে রান আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পরই রাজশাহী ভেঙ্গে যায়। আর বোলিংকে নেতৃত্ব দেয়া মাসুদের পাশাপাশি মোশাররফ হোসেন রম্নবেলও নেন ৩ উইকেট। আর সিলেটের সুলতান মাশরাফি এক উইকেট নিলেও কাল মিরপুরে আবারো দর্শকরা তার ব্যাটিং তান্ডব দেখেছে। কাপালীর সাথে তিনি নিজেও ২টি বিশাল ছক্কা মেরে ১৭ বলে ২৬ রান করেন নড়াইল এক্সপ্রেস। আর কাপালী যেন নিজেকে আবার ফিরে পেয়েছিলেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। লংঅনের উপর দিয়ে একটি ছক্কার পাশাপাশি ৯টি বাউন্ডারিতে তিনি পৌঁছে যান ৬২ রানে। তার আগে ওপেনার শ্রীলংকান উইরারাতিনার ২৭ বলের ঝড়ো ৪০ রানের ইনিংসের কারণে কাল চট্টগ্রাম সাইক্লোনকে টপকে এবারের লীগের সর্বোচ্চ স্কোর ছুঁয়ে যায় সিলেট সুলতান।

এই জয়ে সিলেটের তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে সেমিফাইনালের দেŠড়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। আর হেরেও সেমিফাইনালের রশি এখনো শক্তভাবে টিকে আছে রাজশাহীর। তিন ম্যাচে দুই জয় তাদের আর এক হার। আজ মিরপুরে দুপুরে চট্টগ্রামের সাথে লড়বে ঢাকার ডিনামাইটস এবং বিকালে খেলবে সিলেট ও বরিশাল।

Sylhet Sultan Beat Rajshai Rangers by 26 runs

Full Score Card:

Sylhet Division innings (20 overs maximum) R M B 4s 6s SR
K Weeraratne
c Lokuarachchi b Suhrawadi Shuvo 40 42 27 3 2 148.14

Dhiman Ghosh†
b Suhrawadi Shuvo 21 30 18 2 0 116.66

SI de Saram
c Nadif Chowdhury b Sanjamul Islam 11 6 7 0 1 157.14

Alok Kapali
c Nadif Chowdhury b Suhrawadi Shuvo 62 43 38 9 1 163.15

Farhad Reza
c Suhrawadi Shuvo b Sanjamul Islam 7 9 8 0 0 87.50

Mashrafe Mortaza*
b Mukhtar Ali 26 18 17 1 2 152.94

Nazmul Hossain Milon
not out 11 13 5 0 1 220.00

Ariful Haque
not out 0 3 0 0 0 -

Extras (lb 2, w 2) 4

Total (6 wickets; 20 overs) 182 (9.10 runs per over)
Did not bat Fariduddin, Mosharraf Hossain, Nazmul Hossain

Fall of wickets1-55 (Dhiman Ghosh, 6.5 ov), 2-75 (de Saram, 8.2 ov), 3-77 (Weeraratne, 9.2 ov), 4-91 (Farhad Reza, 12.1 ov), 5-139 (Mashrafe Mortaza, 17.2 ov), 6-172 (Alok Kapali, 19.2 ov)


Bowling O M R W Econ
Shafiul Islam
4 0 36 0 9.00

Mukhtar Ali
3 0 32 1 10.66 (2w)

Suhrawadi Shuvo
4 0 33 3 8.25

Naeem Islam
2 0 30 0 15.00

Sanjamul Islam
4 0 23 2 5.75

KS Lokuarachchi
3 0 26 0 8.66


Rajshahi Division innings (target: 183 runs from 20 overs) R M B 4s 6s SR
AC Blizzard
b Fariduddin 13 12 7 1 1 185.71

Hannan Sarkar
c Mashrafe Mortaza b Fariduddin 21 16 8 3 1 262.50

Nadif Chowdhury
c Farhad Reza b Mosharraf Hossain 31 51 31 2 0 100.00

KS Lokuarachchi
b Mosharraf Hossain 3 10 6 0 0 50.00

Naeem Islam
c de Saram b Fariduddin 10 12 13 1 0 76.92

Shuvagoto Hom
run out (Mosharraf Hossain) 51 20 24 2 4 212.50

Suhrawadi Shuvo
c de Saram b Mosharraf Hossain 3 5 5 0 0 60.00

Sanjamul Islam
b Mashrafe Mortaza 8 14 13 0 0 61.53

Mukhtar Ali
not out 7 13 10 0 0 70.00

Shafiul Islam
not out 2 3 4 0 0 50.00

Extras (lb 3, w 3, nb 1) 7

Total (8 wickets; 20 overs) 156 (7.80 runs per over)
Did not bat Khaled Mashud*†

Fall of wickets1-30 (Blizzard, 2.1 ov), 2-35 (Hannan Sarkar, 2.4 ov), 3-51 (Lokuarachchi, 5.1 ov), 4-68 (Naeem Islam, 8.4 ov), 5-131 (Shuvagoto Hom, 13.1 ov), 6-132 (Nadif Chowdhury, 13.2 ov), 7-138 (Suhrawadi Shuvo, 14.3 ov), 8-151 (Sanjamul Islam, 18.4 ov)


Bowling O M R W Econ
Mashrafe Mortaza
4 0 23 1 5.75

Nazmul Hossain
3 0 41 0 13.66 (1nb)

Fariduddin
3 0 25 3 8.33

Mosharraf Hossain
4 0 23 3 5.75 (2w)

Farhad Reza
4 0 25 0 6.25

K Weeraratne
1 0 11 0 11.00

Alok Kapali
1 0 5 0 5.00 (1w)

Match details
Toss Sylhet Division, who chose to bat
Points Sylhet Division 2, Rajshahi Division 0

Twenty20 debut Fariduddin (Sylhet Division)
Player of the match Fariduddin (Sylhet Division)


Chittagong Cyclone beat Barishal Blazers by 8 wickets
Full Scorecard:
Barisal Division innings (20 overs maximum) R M B 4s 6s SR
Nazimuddin
b Kamrul Islam 9 3 4 2 0 225.00

Shahriar Nafees*
c †Uttam Sarkar b Enamul Haque 30 40 33 4 0 90.90

PBB Rajapaksa
c Saqlain Sajib b Kamrul Islam 1 8 3 0 0 33.33

Raqibul Hasan
c Tamim Iqbal b Kamrul Islam 1 9 2 0 0 50.00

HGJM Kulatunga
c & b Kamrul Islam 1 5 2 0 0 50.00

Sabbir Rahman
st †Uttam Sarkar b Enamul Haque 9 19 14 1 0 64.28

Mahmudul Hasan
lbw b Enamul Haque 0 1 1 0 0 0.00

Saghir Hossain†
lbw b Rubel Hossain 10 19 13 0 0 76.92

Ziaur Rahman
c Kamrul Islam b Nasir Hossain 12 29 20 0 1 60.00

Arafat Sunny
run out (Nasir Hossain) 11 9 8 2 0 137.50

Syed Rasel
not out 2 6 4 0 0 50.00

Extras (lb 3, w 3) 6

Total (all out; 17.2 overs) 92 (5.30 runs per over)
Fall of wickets1-10 (Nazimuddin, 0.5 ov), 2-15 (Rajapaksa, 2.1 ov), 3-27 (Raqibul Hasan, 4.1 ov), 4-31 (Kulatunga, 4.6 ov), 5-48 (Shahriar Nafees, 8.4 ov), 6-48 (Mahmudul Hasan, 8.5 ov), 7-59 (Sabbir Rahman, 10.6 ov), 8-75 (Saghir Hossain, 14.1 ov), 9-89 (Arafat Sunny, 16.1 ov), 10-92 (Ziaur Rahman, 17.2 ov)


Bowling O M R W Econ
Kamrul Islam
3 0 23 4 7.66 (2w)

Rubel Hossain
4 0 16 1 4.00 (1w)

Nasir Hossain
2.2 0 11 1 4.71

Enamul Haque
4 0 15 3 3.75

Saqlain Sajib
3 0 16 0 5.33

Faisal Hossain
1 0 8 0 8.00


Chittagong Division innings (target: 93 runs from 20 overs) R M B 4s 6s SR
Tamim Iqbal
not out 65 57 51 6 4 127.45

Uttam Sarkar†
run out (Rajapaksa) 6 11 9 1 0 66.66

Aftab Ahmed
c Raqibul Hasan b Ziaur Rahman 15 26 15 2 0 100.00

Marshall Ayub
not out 1 18 10 0 0 10.00

Extras (lb 6, nb 2) 8

Total (2 wickets; 13.5 overs) 95 (6.86 runs per over)
Did not bat Nafees Iqbal*, Faisal Hossain, Nasir Hossain, Saqlain Sajib, Enamul Haque, Rubel Hossain, Kamrul Islam

Fall of wickets1-11 (Uttam Sarkar, 3.2 ov), 2-50 (Aftab Ahmed, 8.5 ov)


Bowling O M R W Econ
Syed Rasel
3 0 10 0 3.33

Mahmudul Hasan
3.5 0 33 0 8.60

Ziaur Rahman
2 0 16 1 8.00 (2nb)

Arafat Sunny
3 0 20 0 6.66

Sabbir Rahman
2 0 10 0 5.00

Match details
Toss Chittagong Division, who chose to field
Points Chittagong Division 2, Barisal Division 0

Twenty20 debut Kamrul Islam (Chittagong Division)
Players of the match Kamrul Islam (Chittagong Division) and Tamim Iqbal (Chittagong Division)

বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১০

Flop Pakistani Cricketers are getting “Good Bye” from NCLt20

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বিদেশি খেলোয়াড়দের সামনে সব সময় মাথা নত করেই রাখতে হয় স্থানীয় ক্রিকেটারদের। কিন্তু এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিচ্ছে অন্য অভিজ্ঞতা। বিদেশি তারকাদের বেশির ভাগই ফ্লপ এখানে। সে তুলনায় বরং মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েসরাই বেশি উজ্জ্বল।
গতিতারকা শোয়েব আখতারকে দলে ভিড়িয়ে চমক দেখিয়েছিল সাইক্লোনস অব চিটাগং। অথচ শোয়েবের পারফরম্যান্সটা দেখুন—তিন ম্যাচে ১১ ওভার বল করে ৯৫ রান দিয়ে মাত্র ১টা উইকেট! রান করেছেন ৮। ম্যাচপ্রতি সাড়ে পাঁচ হাজার ডলার দিয়ে এমন পারফরম্যান্স মানবে কোন দল! সাইক্লোনস তাই ‘খোদা হাফেজ’ই বলে দিয়েছে শোয়েবকে। পয়লা বৈশাখটা ঢাকায় করে শোয়েব দেশের বিমান ধরবেন আগামীকাল। তাঁর স্বদেশি খুররম মনজুর অবশ্য চলে যাচ্ছেন আজই। তিন ম্যাচে সাইক্লোনসকে তিনি দিয়েছেন ২৯ রান।
একই অবস্থা ঢাকা ডায়নামাইটসের ইমরান নাজিরেরও। সপরিবারে বাংলাদেশে এসে ২ ম্যাচে ২৬ রান করে এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানও এখন দেশে ফেরার অপেক্ষায়। ঢাকা তাঁর জায়গায় শ্রীলঙ্কান থিলান কান্ডাম্বিকে আনার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। দুই ম্যাচে ৩০ রান করা ফয়সাল ইকবালকে নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছে না সুলতানস অব সিলেটও।
জীবন মেন্ডিস, নুয়ান জয়সাদের সাফল্যে পাকিস্তানিদের পরিবর্তে লিগে আরও কিছু শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার যোগ হতে পারেন। রাজশাহী রেঞ্জার্সের হয়ে খেলা একমাত্র অস্ট্রেলিয়ান এইডেন ব্লিজার্ডও খারাপ খেলছেন না। অথচ আইপিএলে নিষিদ্ধ বলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরাই সবচেয়ে সহজলভ্য ছিলেন এই টুর্নামেন্টে।
Source: DPA

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা বুড়োদেরও!



বাংলাদেশ দলে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের প্রতীক বললে প্রথমেই আসবে তামিম ইকবালের নাম। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ঘোষণার পর যাঁর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন ছিল, তাঁর নাম ইমরুল কায়েস। অথচ এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে এই দুজনের মুখোমুখি লড়াইয়ে উল্টো ঘটনাই ঘটল। ৪৮ বলে ৭১ রান করে নায়ক ইমরুল কায়েস আর তামিম ইকবাল প্রথম বলেই বোল্ড!
এই বৈপরীত্য ছিল দিনের অন্য দুই ম্যাচেও। যার একটিতে ঢাকা ডায়নামাইটস ৪০ রানে হারিয়েছে সুলতানস অব সিলেটকে। অন্যটিতে রাজশাহী রেঞ্জার্স ৭ উইকেটে হেরেছে বরিশাল ব্লেজার্সের কাছে। আর তামিম-ইমরুলের ম্যাচে ইমরুলের দল কিংস অব খুলনা ৭৮ রানে জিতেছে তামিমের সাইক্লোনস অব চিটাগংয়ের বিপক্ষে। অঙ্কের হিসেবে এখনো সম্ভাবনা আছে, তবে টানা তিন ম্যাচে হেরে চট্টগ্রামের সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কিংস অব খুলনার ৭ উইকেটে ১৮০ রানের ইনিংসের পুরোটাই প্রায় ‘ইমরুল শো’। ওপেনিংয়ে নেমে আউট হয়েছেন ১৭তম ওভারে। ৩৬ বলের ফিফটিতেই মেরেছেন ৫টি চার ও দুটি ছক্কা, পরে চার-ছক্কা মেরেছেন আরও একটি করে। বাকিদের মধ্যে সঙ্গী শ্রীলঙ্কান ওপেনার ১২ বলে ২৭ রান করেছেন, কিন্তু কালও ব্যর্থ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে করেছিলেন ১৮, কাল ১৬ বলে ১৬ রান করে শোয়েব আখতারকে ‘দিল স্কুপ’ মারতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে তিন ম্যাচে ‘পিন্ডি এক্সপ্রেসের’ অর্জন এই একটা উইকেটই। তাঁকে বিদায় করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেও তাই বেশি ভাবতে হয়নি চট্টগ্রামকে।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে খুলনার ১৮০ রানই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ, চট্টগ্রাম যেটার সামনে একরকম নুয়েই পড়ল। কৃতিত্বটা নুয়ান জয়সারই বেশি। ইনিংসের প্রথম বলেই তামিমের মিডল স্টাম্প উপড়ে ফেলার পর তৃতীয় ওভারে পর পর দুই বলে উত্তম সরকার আর খুররমকে ফিরিয়ে সাইক্লোনসকে নির্বিষ করে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান এই পেসারই। বাকিটা ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতা।
মিরপুরে সকালের ম্যাচেও টি-টোয়েন্টি ব্রাত্যদের মুখেই হাসি ফুটেছে। রাজশাহী রেঞ্জার্সের ১১৫ রানের জবাবে বরিশাল ব্লেজার্সের ২৩ বল বাকি থাকতে পাওয়া জয়ে সর্বোচ্চ (২৫ বলে ৩৬) রান রকিবুল হাসানের। অথচ রাজশাহীর ‘ছক্কা নাঈম’ করলেন ৭ বলে মাত্র ৫ রান!
মেহরাব হোসেন জুনিয়রের ব্যাটিংটাও ঠিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে যায় না। অথচ বিকেএসপির ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে সর্বোচ্চ (৪৪ বলে অপরাজিত ৫৮) ইনিংসটি তাঁরই! শ্রীলঙ্কান জীবন মেন্ডিসের ৩৯ বলে ৪০ রান কিছুটা সমর্থন দিলেও মোহাম্মদ আশরাফুল, জহুরুল ইসলামের মতো মারকুটেদের ব্যর্থতায় ঢাকা ৬ উইকেটে করল মাত্র ১৩৩ রান। চার নম্বরে নেমে আশরাফুল প্রথম বলেই নাজমুলের বলে বোল্ড, জহুরুল তো কোনো বল খেলার আগেই রান আউট! সুলতানস অব সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কৃতিত্বটাকেও খাটো করে দেখার উপায় নেই। আগের দিন ২ উইকেট নেওয়ার পর কাল ২৪ রানে ৩ উইকেট—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জনের কাজটা ভালোই হচ্ছে তাঁর। ঢাকা তার পরও টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বোলারদের কৃতিত্বে এবং সেই বোলারদের মধ্যে ব্যাট হাতে ব্যর্থ আশরাফুলও আছেন। ১৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তবে সিলেটকে ৯৩ রানে অলআউট করে দেওয়ায় সবচেয়ে বেশি অবদান ম্যান অব দ্য ম্যাচ মোহাম্মদ রফিকের—৩.৩ ওভার বল করে মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট এই বাঁহাতি স্পিনারের।
এখানেও বৈপরীত্য! রফিকই তো দেখালেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা বুড়োদেরও!
Source: DPA

মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১০

Latest match prveiw of NCLt20

প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়ে দল বানিয়েছে চট্টগ্রাম সাইক্লোন, কিন্তু মাঠে খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্স ক্রমেই হতাশা বাড়াচ্ছে। টিম ম্যানেজম্যান্টও এখন ভাবতে শুরম্ন করেছে সাইক্লোনকে নিয়ে। এনসিএলের তিনটি ম্যাচেই হেরে গেছে তারা, গতকাল খুলনার কিংসের কাছে ৭৮ রানে হেরে ব্যর্থতার ষোলকলাপূর্ণ হয়েছে তাদের। অন্যদিকে কলকাতা থেকে ফিরে দারম্নণ ফর্মে থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজা কালও ৩ উইকেট নিয়েছেন, তবে দলকে জেতাতে পারেননি। আর টানা দুই ম্যাচ জেতার পর অবশেষে বরিশাল বেস্নজার্সের কাছে হেরে এনসিএলের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল রাজশাহী রেঞ্জার্স।

মিরপুর শেরবাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের টপ অর্ডাররা রানের দেখা পায়নি, খুলনার ১৮০ রানের জবাবে আগের দিনের ৯১ রান করা তামিম ইকবাল কাল মাত্র এক বল খেলে শূন্য রানে বিদায় নেন। নাসির হোসেনের ৩৯ বলে ২৪ ছাড়া বিশের ঘরে কেউ যেতে পারেনি। শ্রীলংকান নুয়ান জয়সার ৪ উইকেটের কারণে ২০ ওভারে ১০২ রানে থেমে যায় চট্টগ্রাম সাইক্লোন। তবে খুলনার কিংস অবশ্য ইমরম্নল কায়েসের ব্যাটে ভর করে ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। কায়েস ৩ ছয় এবং ৫ চারে ৪৮ বলে ৭১ রান করলে ১৮০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে খুলনা। যদিও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এ ম্যাচেও তেমন স্কোর পাননি।

খুলনার এটি দ্বিতীয় জয়, আর চট্টগ্রামের টানা তৃতীয় পরাজয়। এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সকালে রাজশাহী রেঞ্জার্স বরিশাল বেস্নজার্সের চমকের কাছে হেরে যায়। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাপ্টেন মাহমুদুল হাসান এবং সৈয়দ রাসেলের বোলিংয়ের কারণে পাইলটের দল মাত্র ১১৫ রানে গুটিয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বিস্নজার্ড ৩ ছয় ও ৩ চারে ২৬ বলে ৩৯ রান করেন দলের সর্বোচ্চ স্কোর। মাহমুদুল ৩টি এবং রাসেল ২টি উইকেট নিলে দলের রান ১১৫ থেমে যায়।

বরিশালের দুই ওপেনার ৫৫ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও দলের হাল ধরে ম্যাচ জেতান শ্রীলংকান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাপ্টেন রাজাপাকশে এবং জাতীয় দলের মিডল অর্ডার রকিবুল হাসান। রাজাপাকশে ২৮ বলে ৩০ এবং রকিবুল ২৫ বলে ৩৬ রান করেন।

বিকেএসপির দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে দুই সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি ও আশরাফুলের মধ্যে লড়াইয়ে জিতেছেন লিটল মাস্টার আশরাফুল। যদিও মাত্র ১ বলে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন তিনি, কিন্তু দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন অ্যাশ। অন্যদিকে বল হাতে দারম্নণ পারফর্ম করার পরও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে তার দল সিলেট সুলতান হেরে যায় ৪০ রানে। মাশরাফির তান্ডবে ঢাকার টপ অর্ডাররা ক্রিজে টিকতেই পারেননি। তবে শ্রীলংকান জীবন মেন্ডিস এবং মেহরাব হোসেন মিলে ৯২ রানের পার্টনারশীপ গড়ার ফলে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে পৌঁছে ঢাকার ডায়নামাইটস। ৩৯ বলে ৪০ রানে মেন্ডিসকে থামান মাশরাফি, কিন্তু ততÿণে ঢাকা ১৩৩ করে ফেলে, ম্যাশ নেন ২৪ রানে ৩ উইকেট।

সিলেট সুলতান অবশ্য বুড়ো রফিকের বোলিংয়ে বুদ হয়েছে। কাপালী, পাকিসত্মানী ফয়সাল, সাদাত, মাশরাফি এবং রাশেদ হানিফও কাল দাঁড়াতে পারেননি। রফিকের পাশাপাশি আশরাফুলও বল হাতে বাজিমাত করলে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় সিলেটের ইনিংস।

আজ ১ বৈশাখ বলে এনসিএলের কোন খেলা নেই। কালও তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রাজশাহী রেঞ্জার্স এবং সিলেট সুলতান খেলবে দুপুর ১টায় এবং বিকাল ৫:২০ মিনিটে খেলবে ঢাকা ডায়নামাইটস এবং খুলনা কিংস। দিনের তৃতীয় ম্যাচটি হবে বিকেএসপিতে, সকাল সাড়ে দশটায় মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম সাইক্লোন ও বরিশাল বেস্নজার্স।
Source: DITTQ

Latest update of NCLt20 | Barishal vs Rajshahi | Barishal win by 7 wickets

Latest news update of NCLt20: Barishal Blezzers beat favorite Rajshahi Rangers by 7 wickets in the 7th match of NCLt20. Barishal shown disciplined bowling and careful batting to get a comfortable win against rangers. Earlier Rangers won their first two matches in a row to clear the way to semifinal.

Full Scorecard:

Rajshahi Division innings (20 over maximum) R M B 4s 6s SR
AC Blizzard
b Arafat Sunny 39 42 26 3 3 150.00
Hannan Sarkar
c Shahriar Nafees b Syed Rasel 10 21 9 1 0 111.11
Junaid Siddique
lbw b Mahmudul Hasan 1 5 3 0 0 33.33
Naeem Islam
c Shahriar Nafees b Mahmudul Hasan 5 7 7 0 0 71.42
Shuvagoto Hom
c Shahriar Nafees b Mahmudul Hasan 6 3 4 1 0 150.00
KS Lokuarachchi
b Sabbir Rahman 14 20 14 0 1 100.00
Suhrawadi Shuvo
run out (Sabbir Rahman) 26 30 32 2 0 81.25
Nadif Chowdhury
run out (Sabbir Rahman) 1 3 3 0 0 33.33
Mukhtar Ali
run out (Syed Rasel) 7 15 11 0 0 63.63
Shafiul Islam
b Syed Rasel 2 3 3 0 0 66.66
Khaled Mashud*†
not out 1 2 4 0 0 25.00
Extras (lb 1, w 1, nb 1) 3

Total (all out; 19.1 overs) 115 (6.00 runs per over)
Fall of wickets1-37 (Hannan Sarkar, 4.3 ov), 2-45 (Junaid Siddique, 5.2 ov), 3-57 (Naeem Islam, 7.1 ov),4-63 (Shuvagoto Hom, 7.5 ov), 5-63 (Blizzard, 8.1 ov), 6-95 (Lokuarachchi, 14.2 ov), 7-96 (Nadif Chowdhury, 15.1 ov),8-110 (Suhrawadi Shuvo, 17.3 ov), 9-114 (Shafiul Islam, 18.3 ov), 10-115 (Mukhtar Ali, 19.1 ov)


Bowling O M R W Econ
Syed Rasel
4 0 24 2 6.00 (1nb)
Ziaur Rahman
3.1 0 27 0 8.52
Mahmudul Hasan
4 0 16 3 4.00
Arafat Sunny
4 0 28 1 7.00 (1w)
Sabbir Rahman
4 0 19 1 4.75

Barisal Division innings (target: 116 runs from 20 overs) R M B 4s 6s SR
Nazimuddin
c †Khaled Mashud b Nadif Chowdhury 33 29 26 3 2 126.92
HGJM Kulatunga
c Shuvagoto Hom b Naeem Islam 13 18 16 2 0 81.25
PBB Rajapaksa
not out 30 46 28 0 1 107.14
Raqibul Hasan
c Nadif Chowdhury b Naeem Islam 36 32 25 5 1 144.00
Shahriar Nafees*
not out 0 2 2 0 0 0.00
Extras (lb 1, w 5) 6

Total (3 wickets; 16.1 overs) 118 (7.29 runs per over)
Did not bat Saghir Hossain†, Sabbir Rahman, Mahmudul Hasan, Ziaur Rahman, Syed Rasel, Arafat Sunny

Fall of wickets1-37 (Kulatunga, 5.3 ov), 2-55 (Nazimuddin, 7.6 ov), 3-112 (Raqibul Hasan, 15.4 ov)


Bowling O M R W Econ
Suhrawadi Shuvo
4 0 29 0 7.25 (1w)
Naeem Islam
4 0 20 2 5.00 (1w)
KS Lokuarachchi
3.1 0 25 0 7.89 (2w)
Nadif Chowdhury
1 0 8 1 8.00
Shuvagoto Hom
1 0 6 0 6.00
Shafiul Islam
1 0 10 0 10.00
Mukhtar Ali
2 0 19 0 9.50
Match details
Toss Barisal Division, who chose to field
Player of the match Mahmudul Hasan (Barisal Division)

6th match of NCLt20 | Khulna Kings vs Chittagong Cyclone| Khulna beat Chittagong by 78 runs

Khulna Kings beat strong Chittagong Cyclone comprehensively in the 6th match of NCLt20. Strong Chittagong is full of star players. But they are not into their task so far in the tournament. They are now almost out of this tournament as they have been lost in their three match in a row.

khulna Division innings (20 overs maximum) R M B 4s 6s SR
Imrul Kayes
c Marshall Ayub b Faisal Hossain 71 75 48 5 3 147.91
ML Udawatte
c Khurram Manzoor b Nasir Hossain 27 17 12 3 2 225.00
Mithun Ali†
c Shoaib Akhtar b Enamul Haque 17 20 21 0 1 80.95
Shakib Al Hasan*
c Nafees Iqbal b Shoaib Akhtar 16 27 16 2 0 100.00
Dolar Mahmud
c Shoaib Akhtar b Faisal Hossain 2 6 3 0 0 66.66
Alauddin Babu
c Shoaib Akhtar b Faisal Hossain 1 2 2 0 0 50.00
Farhad Hossain
not out 15 10 5 0 2 300.00
Abdur Razzak
c Faisal Hossain b Enamul Haque 19 8 14 1 1 135.71
DNT Zoysa
not out 0 1 0 0 0 -
Extras (b 5, lb 1, w 5, nb 1) 12

Total (7 wickets; 20 overs) 180 (9.00 runs per over)
Did not bat Elias Sunny, Nurul Hasan

Fall of wickets1-40 (Udawatte, 3.4 ov), 2-77 (Mithun Ali, 8.2 ov), 3-139 (Shakib Al Hasan, 15.3 ov),4-144 (Dolar Mahmud, 16.2 ov), 5-144 (Imrul Kayes, 16.3 ov), 6-146 (Alauddin Babu, 16.6 ov), 7-174 (Abdur Razzak, 19.1 ov)


Bowling O M R W Econ
Shoaib Akhtar
4 0 35 1 8.75 (3w)
Nasir Hossain
4 0 49 1 12.25 (1w)
Enamul Haque
4 0 27 2 6.75 (1w)
Sharifullah
4 0 29 0 7.25
Tamim Iqbal
2 0 17 0 8.50 (1nb)
Faisal Hossain
2 0 17 3 8.50

Chittagong Division innings (target: 181 runs from 20 overs) R M B 4s 6s SR
Tamim Iqbal
b Zoysa 0 1 1 0 0 0.00
Uttam Sarkar†
c Imrul Kayes b Zoysa 11 14 6 1 0 183.33
Khurram Manzoor
c †Mithun Ali b Zoysa 12 14 11 0 1 109.09
Aftab Ahmed
c Alauddin Babu b Abdur Razzak 8 30 18 0 0 44.44
Marshall Ayub
c Alauddin Babu b Dolar Mahmud 1 4 4 0 0 25.00
Faisal Hossain
b Alauddin Babu 14 19 14 2 0 100.00
Nasir Hossain
not out 24 34 39 1 0 61.53
Nafees Iqbal*
c Alauddin Babu b Zoysa 13 21 20 0 0 65.00
Sharifullah
not out 12 8 9 0 1 133.33
Extras (lb 1, w 4, nb 2) 7

Total (7 wickets; 20 overs) 102 (5.10 runs per over)
Did not bat Shoaib Akhtar, Enamul Haque

Fall of wickets1-0 (Tamim Iqbal, 0.1 ov), 2-23 (Uttam Sarkar, 2.5 ov), 3-23 (Khurram Manzoor, 2.6 ov),4-25 (Marshall Ayub, 4.1 ov), 5-49 (Faisal Hossain, 7.6 ov), 6-51 (Aftab Ahmed, 8.6 ov), 7-78 (Nafees Iqbal, 16.4 ov)


Bowling O M R W Econ
DNT Zoysa
4 0 26 4 6.50 (1w)
Abdur Razzak
4 0 21 1 5.25
Shakib Al Hasan
4 0 18 0 4.50
Dolar Mahmud
3 0 20 1 6.66 (2nb, 2w)
Alauddin Babu
2 0 8 1 4.00
Elias Sunny
3 0 8 0 2.66
Match details
Toss Khulna Division, who chose to bat

Twenty20 debuts Enamul Haque and Marshall Ayub (Chittagong Division); Nurul Hasan (Khulna Division)
Player of the match Imrul Kayes (Khulna Division)

Keep your Eyes on this site to get updated and latest news of NCLt20.

Dhaka Dynamites vs Sylhet Sultan | Dhaka win by 40 runs

Dhaka Dynamites beat Sylhet Sultan by 40 runs in the low scoring match of NCLt20 at Savar BKSP. Star players are mostly failed to perform well in NCLt20. Bangladeshi Spinners are so far the hero of this NCLt20 hero as they are performing really well.

Full Scorecard:
Dhaka Division innings (20 overs maximum) R M B 4s 6s SR
Imran Nazir c Farhad Reza b Mashrafe Mortaza 16 12 13 3 0 123.07
Shamsur Rahman c sub b Rashid Hanif 13 35 13 1 0 100.00
Jahurul Islam† run out (Farhad Reza) 0 1 0 0 0 -
Mohammad Ashraful* b Nazmul Hossain 0 1 1 0 0 0.00
Mahmudullah c Farhad Reza b Mashrafe Mortaza 1 4 7 0 0 14.28
BMAJ Mendis c Alok Kapali b Mashrafe Mortaza 40 49 39 3 0 102.56
Mehrab Hossain jnr not out 58 40 44 5 2 131.81
Mohammad Rafique not out 2 4 3 0 0 66.66
Extras (lb 2, w 1) 3

Total (6 wickets; 20 overs) 133 (6.65 runs per over)
Did not bat Shahadat Hossain, Tapash Baisya, Nabil Samad
Fall of wickets1-20 (Imran Nazir, 2.5 ov), 2-20 (Jahurul Islam, 2.6 ov), 3-20 (Mohammad Ashraful, 3.1 ov),4-21 (Mahmudullah, 4.2 ov), 5-43 (Shamsur Rahman, 7.2 ov), 6-129 (Mendis, 18.5 ov)

Bowling O M R W Econ
Mashrafe Mortaza 4 0 24 3 6.00
Nazmul Hossain 3 0 19 1 6.33 (1w)
Mosharraf Hossain 4 0 23 0 5.75
Rashid Hanif 4 0 27 1 6.75
Alok Kapali 1 0 9 0 9.00
Nazmus Sadat 2 0 17 0 8.50
Farhad Reza 2 0 12 0 6.00

Sylhet Division innings (target: 134 runs from 20 overs) R M B 4s 6s SR
Nazmus Sadat c Mahmudullah b Mohammad Rafique 0 1 2 0 0 0.00
Farhad Reza b Mohammad Rafique 7 22 11 1 0 63.63
Faisal Iqbal b Shahadat Hossain 3 14 11 0 0 27.27
Alok Kapali c Mohammad Rafique b Mohammad Ashraful 33 50 34 2 1 97.05
Nazmul Hossain Milon b Mohammad Ashraful 21 23 20 1 1 105.00
Mashrafe Mortaza* lbw b Shahadat Hossain 7 14 7 0 0 100.00
Rashid Hanif c Mahmudullah b Tapash Baisya 2 10 6 0 0 33.33
Ariful Haque c Imran Nazir b Mohammad Rafique 10 13 8 1 0 125.00
Dhiman Ghosh† c Shamsur Rahman b Mohammad Ashraful 1 1 2 0 0 50.00
Mosharraf Hossain c Imran Nazir b Mohammad Rafique 3 3 4 0 0 75.00
Nazmul Hossain not out 0 1 0 0 0 -
Extras (lb 2, w 4) 6

Total (all out; 17.3 overs) 93 (5.31 runs per over)
Fall of wickets1-0 (Nazmus Sadat, 0.2 ov), 2-12 (Faisal Iqbal, 3.1 ov), 3-16 (Farhad Reza, 4.5 ov),4-58 (Nazmul Hossain Milon, 10.3 ov), 5-76 (Mashrafe Mortaza, 13.5 ov), 6-78 (Alok Kapali, 14.5 ov),7-86 (Rashid Hanif, 15.5 ov), 8-87 (Dhiman Ghosh, 16.1 ov), 9-93 (Mosharraf Hossain, 17.2 ov), 10-93 (Ariful Haque, 17.3 ov)

Bowling O M R W Econ
Mohammad Rafique 3.3 1 7 4 2.00
Shahadat Hossain 3 0 10 2 3.33 (1w)
Nabil Samad 3 0 16 0 5.33
Tapash Baisya 3 0 24 1 8.00 (1w)
BMAJ Mendis 1 0 11 0 11.00 (2w)
Mehrab Hossain jnr 1 0 10 0 10.00
Mohammad Ashraful 3 0 13 3 4.33
Player of the match Mohammad Rafique (Dhaka Division)

সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০১০

NCLt20 is a new dimension of Bangladesh Cricket

NCLt20 is a new dimension of Bangladesh Cricket. NCLt20 has come up with a new vision and aspect of cricket in Bangladesh. Bangladeshi domestic went under difficult condition in last 6/8 years. But new version of cricket which is called T20 cricket has come up with new energy and new features. It has broken the sleep of Bangladeshi local cricket lovers. Bigboss T20 started to move the proceedings first as it became very popular in last year. In this year, National Cricket league started with new format and it has been named as NCLt20. The whole NCLt20 is divided into 6 teams. Every team is playing with every other team once in the tournament as round robin league system. The officials of this tournament are expecting to have a different experience through this tournament. Every team is having chance to play maximum two overseas players in each match. Shoaib Akter, Imran Nazir, Khurram Manjur, Blizzard are among the overseas players of NCLt20. NCLt20 is supposed to replace the entertainment of IPL for Bangladeshi cricket lovers. All Bangladeshi star cricketers are playing in this tournament.

Dhaka Dynamites vs Barishal Blezzers: Dhaka win by 6 wickets


মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটস তাদের প্রথম ধাক্কাটি দিয়েছে বরিশাল বেস্নজার্সকে। এই ম্যাচেও জাতীয় দলের তারকাদের পারফর্মেন্স বেশ হতাশ জনক। দীর্ঘদিন রান খরায় থাকা ঢাকার কাপ্তান আশরাফুল কালও দলকে রান এনে দিতে পারেননি। বরিশালকে ঢাকা ৬ উইকেটে হারালেও এই জয়ে তার কন্ট্রিবিউশন নেই বললেই চলে। ১১ বল খেলে ৭ রান করেছেন তিনি, তবে ভালো ব্যাটিং করেছেন তরম্নণ সদ্য জাতীয় দলে ঢোকা জহিরম্নল ইসলাম অমি। ৩২ বলে ৩৬ রান করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে আসে তার এই ব্যাটিং। ঢাকাকে জয়ের স্বপ্ন শুরম্নতে দেখিয়েছেন ওপেনার শামছুর রহমান শুভ। তার ঝড় ব্যাটিং (২৩ বলে ৪১) দলকে জিততে তেমন বেগ পেতে হয়নি। শ্রীলংকান জীবন মেন্ডিসও ২৭ বলে ২৯ রান করেন।

তবে বরিশাল হারলেও নিজের ব্যাটিংয়ের উপর সন্তুষ্ট বিদ্রোহী ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত বরিশালের রকিবুল হাসান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ডাক পাননি বলে অভিমানে জাতীয় দল ছেড়ে দেন তিনি। সেই ক্ষোভ কাল ঢাকার উপর ঝেড়েছেন ৪০ বলে ৪৩ রান করে তবে দলকে জেতাতে পারেননি।

জাতীয় দলের তারকারা রান না পেলেও বিভাগীয় দলগুলো মনে করছে তারা সামনের ম্যাচগুলোতে রান খরা থেকে বের হতে পারবে। আজও ঢাকা ডায়নামাইটস মাঠে নামবে। বিকেএসপিতে সকাল সকাল সাড়ে দশটায় তারা খেলবে সিলেট সুলতানের সাথে ।

আর সকালে সকাল সাড়ে নয়টায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রাজশাহী রেঞ্জার্স খেলবে বরিশাল বেস্নজার্সের সাথে।

Small Scorecard:
টস: ঢাকা ডায়নামাইটস

বরিশাল বেস্নজার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৭ (রকিবুল ৪৩, নাজিমুদ্দিন ৩৫, রনি ২৬, মেহরাব ২/৮, নাবিল ২৮/২, তাপষ ২/৩০)।
ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৯.১ ওভারে ১৫১/৪ (শুভ ৪১, অমি ৩৬, মেন্ডিস অপ: ২৯, রাসেল ১/২৭, শিবলু ১/৩৫)।
ফল: ঢাকা ডায়নামাইটস জয়ী ৬ উইকেটে।
Source: DITTQ

Rajshahi Rangers Beat Khulna Kings by 36 runs

এনসিএলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের হতাশ করা পারফর্মেন্সে একটু বেশি দুশ্চিমত্মায় পড়তে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। সম্প্রতি শেষ হওয়া পিসিএলেও জাতীয় দলের তারকাদের পারফর্মেন্স বলার মত কিছু ছিল না। এনসিএলের দ্বিতীয় দিনেও সেই পারফর্মেন্সই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের সামনে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এরকম ব্যাটিং-বোলিং কপালে ভাঁজ ফেলছে তাদেরও। কাল বিকেএসপির মাঠে খালেদ মাসুদের রাজশাহী রেঞ্জার্স সাকিবের খুলনার কিংসকে হারায় ৩৬ রানে। প্রথমে ব্যাট করে রাজশাহী তোলে ১৭৭ রান, যেটি সম্ভব হয়েছে দুই ওপেনার ক্রেগবুজ ও হান্নান সরকারের কারণে। ২০ বলে ৩৯ ক্রেগবুজের এবং ২২ বলে ৪৪ রান হান্নানের। রাজশাহী ম্যাচ জিতলেও জাতীয় দলের দুই খেলোয়াড় জুনায়েদ ও নাঈমের ব্যাটিং ছিল হতাশজনক। জুনায়েদ করেন ৩ বলে ২ এবং নাঈম করেন ৭ বলে ৪। রাজশাহীর পেসার শফিউল ইসলাম ২৪ রানে নেই কোন উইকেট, নাঈম পেয়েছেন একটি।

জবাব দিতে গিয়ে খুলনার তারকাদের ব্যর্থতার কারণে ১৪১ রানে থামতে হয়েছে তাদের। অধিনায়ক সাকিব মাত্র ১২ বলে ১৬ রান এবং ইমরম্নল কায়েস ১৯ বলে ৩১ রান করেন। সাকিব বল হাতে ১টি উইকেট পেলেও আব্দুর রাজ্জাক ৩৫ রানে কোন উইকেট পাননি। রাজশাহীর এটি টানা দ্বিতীয় জয়, এনসিএলের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম সাইক্লোনকে হারানোর পর কাল খুলনাকেও হারানোর পর সেমিফাইনালের প্রতিযোগিতায় অনেকটা এগিয়ে গেলেন মাসুদ বাহিনী।
Small Scorecard:

টস: রাজশাহী রেঞ্জার্স

রাজশাহী রেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৭৭/৯ (হান্নান ৪৪, ক্রেগবুজ ৩৯, শুভগত ৩৫, সাঞ্জামুল অপ: ৩১, ফরহাদ হোসেন ৩/১১, সানি ২/২০)।

খুলনা কিংস: ১৯.৩ ওভারে ১৪১ (ফরহাদ অপ: ৪১, কায়েস ৩১, মুক্তার আলী ৫/২২, সাঞ্জামুল ২/১৮, শুভগত ২/২৯)।
ফল: রাজশাহী রেঞ্জার্স জয়ী ৩৬ রানে।

Mashrafee & Kapali ensured victory for Sylhet Sultan against Chittagong Cyclone


কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা, এ কারণে কিছুটা সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল তার ফিটনেস নিয়ে। কিন্তু সব টেনশনকে আছড়ে ফেললেন কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রাম সাইক্লোনকে ঠান্ডা করে নিজেই বনে যান সিলেটের সাইক্লোন। এক ওভারের সাইক্লোনে গোটা চট্টগ্রামের আকাশকে সত্মব্ধ করে দলকে প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতিয়ে আনেন জাতীয় দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি।

কাল এনসিএলের দ্বিতীয় দিনে তার ব্যাট ও বলের ছোঁয়ায় সিলেট সুলতান তাদের প্রথম জয় পায়। তবে ব্যাটিংয়ের প্রশংসার পয়েন্ট তিনি একটু বেশি পাবেন, কারণ, নাসির হোসেনের এক ওভারে তিনটি ছক্কা মেরে দলের জয়কে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন এই মাশরাফি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তার এই পারফর্মেন্স গোটা জাতীয় দলকে আশান্বিত করছে। বল হাতে শেষ ওভারে অতি বুদ্বিমান বোলিং তামিমকে যেমন এনসিএলের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত করেছে তেমনি চট্টগ্রামের রানের ফোয়ারাও আটকে দিয়েছে। শেষ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে মাশরাফি তুলে নেন তামিম ও নাসিরকে। আর পাকিসত্মানী রাশেদ হানিফের বিদায়ের পর মাশরাফির সেই তুলকালাম নিশ্চয়ই অনেকদিন মনে রাখবে চট্টগ্রাম সাইক্লোন।

১৫২ রান টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভালো স্কোর, ফরহাদ রেজার ব্যাটিং সিলেটকে আরো বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছিল শুরম্ন থেকে। বিশেষ করে পাকিসত্মানী স্পিড স্টার নামে খ্যাত শোয়েব আকতারের বোলিং ফরহাদের কাছে মামুলি হয়েছে। এনামুলকে উইকেট দিয়ে আসার আগে ৫টি চার ও একটি লংঅনের উপর দিয়ে ছক্কা দেন তিনি। কাপালী অবশ্য তখনো তার হাত খুলে খেলেননি, ফরহাদের বিদায়ের পর শোয়েব, রম্নবেল হোসেন, সাকলাইন সজীবদের উপর চড়াও হয়ে মাত্র একরানের জন্য ফিফটির দেখা পাননি আইসিএলে দুর্দামত্ম খেলা কাপালী।

অবশ্য মাশরাফির সেই সাইক্লোনে কাছে কারো স্কোরই প্রাধান্য পায়নি। দীর্ঘদিনর পর মাঠে ফিরেও মাশরাফি প্রমাণ করেছেন এখনো তিনি সেরা। আর কলকাতা থেকে তাকে আনতে পেরে সিলেটও স্বসিত্মর নিঃশ্বাস ফেলছে। শুধু স্বসিত্ম পাচেছনা চট্টগ্রাম। দেড় কোটি টাকা দিয়ে দল সাজিয়েও একমাত্র তামিম ছাড়া আর কারোর পারফর্মেন্স আশানুরূপ পাচ্ছে না। আফতাব আহমেদ, নাফীস ইকবাল, এমনকি দুই বিদেশী খুররম মাঞ্জুর এবং শোয়েব আকতারকেও উজ্জ্বল দেখা যায়নি গত দুই ম্যাচে। উত্তম সরকার প্রথম ম্যাচে হাত খুলে খেললেও কাল তার ব্যাটিংও হতাশ করেছে সবাইকে। শোয়েব আকতার কাল ৪ ওভার বোলিং করে ২৯ রান দিয়েছেন ঠিকই; কিমত্মু উইকেট পাননি। এনসিএলের প্রথম ম্যাচেও ৩১ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস নামে খ্যাত শোয়েব। চট্টগ্রাম সাইক্লোনের দুই বিদেশী রিক্রুট নিয়ে খোদ দলের কর্মকর্তারাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে, কারণ, সেমিফাইনালের লাইনের হিসেব করতে হলে বাকি তিন ম্যাচ জয়ের কোন বিকল্প নেই। আফতাব, নাফীসদের যে ব্যাটিং এবং খুররম ও শোয়েবের যে পারফর্মেন্স তাতে সাইক্লোনকে একটু ভাবতে হবে বেশি করে। এনসিএলের তৃতীয় দিনে আজ দুপুরে খুলনা কিংসের সাথে লড়বে তামিমের সাইক্লোন দল।

সংÿÿপ্ত স্কোর

টস-সিলেট সুলতান। চট্টগ্রাম সাইক্লোন: ২০ ওভারে ১৫২/৭ (তামিম ৯১, উত্তম ১, খুররম ১৭, আফতাব ১, ডিকেন্স ২, নাফীস ৮, নাসির ২৪, শোয়েব অপ: ২, এনামুল অপ ০, অতি: ৬, মাশরাফি ২/৩৪, ফরহাদ ১/৪৯, হানিফ ১/১১, নাজমুল ১/৩০)। সিলেট সুলতান: ১৮.৫ ওভারে ১৫৩/৫ (সাদাত অপ: ৪, ফরহাদ ৩২, ইকবাল ২৭, কাপালী অপ: ৪৯, হানিফ ১০, মাশরাফি ২৬, মিলন ০, অতি: ৫, রম্নবেল ২/৩৭, এনামুল ১/১৫, সাকলাইন ১/২৮)। ফল: সিলেট সুলতান জয়ী ৫ উইকেটে।
Source: DITTQ

Rajshahi Rangers Beat Cyclone of Chittagong comprehensibly by 6 wickets


‘মনোমুগ্ধকর’ বলতে যা বোঝায় সেটা হয়নি, তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান একটা হয়েছে। আতশবাজির আলো ফোয়ারা হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আকাশে। আইয়ুব বাচ্চু-ইভা রহমানের গানের তালে নেচেছে দর্শক। ছিল ছয় দলের খেলোয়াড়দের ঘিরে বর্ণিল পোশাকে র্যা্ম্প মডেলদের ক্যাটওয়াক। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু হওয়ায় বাতিল হয় পূর্বনির্ধারিত লেজার শো।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রংচং ও নাচ-গানের গুরুত্ব অনেক। ডেসটিনি গ্রুপ এনসিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সেদিক দিয়ে মন খারাপের কারণ হতেই পারে। উদ্বোধনী-সমাপনী অনুষ্ঠান বিশাল মাঠের এক কোণে হাতেগোনা কিছু পারফর্মারের ব্যাপার হলে সেটি টেলিভিশনে ভালো লাগলেও লাগতে পারে, মাঠের দর্শকদের মন ভরানো কঠিন। গ্যালারি উন্মুক্ত থাকায় সেই দর্শক ভালোই হলো কাল।
তবে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ক্রিকেটীয় একটা মজাও আছে। গ্যালারির প্রায় পুরোটাই ভরিয়ে তোলা দর্শকদের মধ্যে ফ্লাডলাইটের আলোয় যারা সেই মজাটা নিতে এসেছিল, মাঠের ক্রিকেট দেখেও তারা নিশ্চয়ই হতাশ। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে টি-টোয়েন্টিসুলভ স্কোর করতে পারল না সাইক্লোনস অব চিটাগং। প্রতিপক্ষ রাজশাহী রেঞ্জার্স ১৩৩ রানের টার্গেট ছুঁয়ে ফেলল ১৭ বল বাকি থাকতেই।
ক্রিকেটের গায়ে টি-টোয়েন্টির জ্বরটাই এখন সবচেয়ে উত্তপ্ত। বাংলাদেশেরও এই স্রোতে গা না ভাসানোর কোনো কারণ নেই। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের পর এবার জাতীয় ক্রিকেট লিগেও টি-টোয়েন্টি দর্শন হলো। বিসিবি ক্রিকেটের আধুনিক রঙেই রাঙিয়ে তুলতে চায় সংক্ষিপ্ত পরিসরের এই ক্রিকেটকে। বাংলাদেশের ক্রিকেট তাই টি-টোয়েন্টি দিয়েই প্রথম দেখল ফ্র্যাঞ্চাইজ পদ্ধতি। আইপিএলের মতো নিলাম না হলেও খেলোয়াড় বণ্টন হয়েছে লটারির মাধ্যমে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ওড়াউড়ি নেই, এই টুর্নামেন্ট তবু কিছু বাড়তি অর্থের মুখ তো দেখাবে ক্রিকেটারদের। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর আগমন আর বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতিতে এনসিএল টি-টোয়েন্টি জমজমাট হবে বলেই পূর্বাভাস।
তবে উদ্বোধনী ম্যাচটার এই পূর্বাভাসে কোনো ভূমিকা নেই। একদিকে পাকিস্তানের শোয়েব আখতার-খুররম মনজুর, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার এইডেন ব্লিজার্ড কিংবা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ‘ছক্কা নাঈম’খ্যাত নাঈম ইসলাম। অথচ প্রতিদ্বন্দ্বিতার সামান্যতম আঁচও পাওয়া গেল না প্রথম ম্যাচে! সাইক্লোনস অব চিটাগংয়ের ওপেনার তামিম ইকবাল ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের আভাস দিয়েও ১২ বলে ১৪ রান করে সোহরাওয়ার্দীর বলে মিড উইকেটে জুনায়েদ সিদ্দিকের ক্যাচ। চিটাগংয়ের ইনিংসে যা একটু ‘সাইক্লোন’ দেখা গেল আরেক ওপেনার উত্তম সরকারের ব্যাটেই। নাদিফ চৌধুরীর বলে লং অনে সোহরাওয়ার্দীর ক্যাচ হওয়ার আগে তিন ছক্কা তিন চারে ২৯ বলে করেছেন ৫১ রান। তিন ছক্কার মধ্যে আবার সোহরাওয়ার্দীর এক ওভারেই দুটি, যার একটির ঠিকানা গ্যালারি।
শোয়েব আখতারের কাছে যা কিছু দেখার আশা, সেটা বল হাতেই। তার পরও শোয়েব বলে কথা। বিতর্ক আর গতির মিশেলে তিনি এমনই বড় তারকা যে এনসিএল টি-টোয়েন্টির দর্শকেরা ব্যাট হাতেও কিছু চাইল তাঁর কাছে। ব্যাটিংয়ে নামার সময় হাততালি আর হর্ষধ্বনিতে স্বাগত অভিবাদন পেলেন শোয়েব। ১১২ রানে দলের সপ্তম উইকেট পড়ার পর উইকেটে এসে শোয়েবও যেন দর্শকদের দাবি মেটাতে চাইলেন। প্রথম বলেই রাজশাহী রেঞ্জার্সের পেসার মুক্তারকে মাথার ওপর দিয়ে তুলে ছক্কা। এবং ওখানেই শেষ ব্যাটিংয়ে শোয়েব-পর্ব। ৬ রানে থেকেই পরের ওভারে শফিউল ইসলামের বলে বলে লং অনে হান্নানের ক্যাচ।
পাকিস্তানের এই তারকা ক্রিকেটার ব্যর্থ বল হাতেও—৩ ওভারে ৩১ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেট-শূন্য। সোহরাওয়ার্দীর হাতে তো ছক্কাও খেলেন! আসলে রাজশাহীর উইকেটই পড়েছে মাত্র চারটি। ওপেনার ব্লিজার্ডের ১৭ বলে ২৫ আর নাঈমের ৩৭ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের সৌজন্যে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে খালেদ মাসুদের দল।
রাজশাহী রেঞ্জার্স না হয় জয় দিয়ে শুরু করল টুর্নামেন্টটা, প্রথম ম্যাচ থেকে দর্শকেরা কি পেল? টি-টোয়েন্টির আসল মজা টানটান উত্তেজনার ছিটেফোঁটাও ছিল না ম্যাচে। মন ভরায়নি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও। শোয়েব আখতার-দর্শনটাই তাই একমাত্র প্রাপ্তি হয়ে থাকল দর্শকদের জন্য।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: সাইক্লোনস অব চিটাগং: ২০ ওভারে ১৩২ (উত্তম ৫১, নাফিস ২৫, তামিম ১৪, ফয়সাল ১১, নাসির ১১; মুক্তার ৩/২২, নাদিফ ২/১৭, সোহরাওয়ার্দী ২/২০, শফিউল ২/৩৩)। রাজশাহী রেঞ্জার্স: ১৭.১ ওভারে ১৩৩/৪ (নাঈম ৫৬*, ব্লিজার্ড ২৫, জুনায়েদ ২২, সোহরাওয়ার্দী ১২*। নাসির ১/১৪, এনামুল ১/২৩, শরীফুল্লাহ ১/২৩, ফয়সাল ১/৩৬, শোয়েব ০/৩১)। ফল: রাজশাহী রেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুক্তার আলী।
Source: DPA

শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১০

NCLT20 Starts today | Cyclones of Chittagong facing Rajshahi Rangers

বিশাল বাজেটে এই প্রথমবারের মতো টি-টুয়েন্টির বড় আয়োজন দেশে। ঠিক পাশর্ববর্তী দেশের আইপিএলের মতো। চৈত্রের কাঠফাঁটা রোদে আজ থেকে মাঠে গড়াবে ১০ দিনের এ প্রতিযোগিতা। এর আগেই অধিনায়কদের হুঙ্কার আমরা সাইক্লোন থামাবোই ুপাইলট এনসিএল টি-টুয়েন্টির প্রথম দিন উদ্বোধনী ম্যাচে সাইক্লোনস অব চিটাগং এর মুখোমুখি হচ্ছে রাজশাহী রেঞ্জার্স। এরকম একটি হাই প্রোফাইল ম্যাচের আগেই রাজশাহী অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট জানালেন- আমরা প্রস্ত্তত। যেভাবেই হোক আমরা সাইক্লোন (চিটাগাং)’কে থামাবোই। দলে যেখানে নাইম ইসলাম, জুনায়েদ সিদ্দিকী, সোহরাওয়ার্দী শুভ, শফিউলদের মতো ক্রিকেটাররা আছে সেখানে চিমত্মা করার কোনো কারণ নেই। তাই এনসিএল টি-টুয়েন্টির প্রথম আসরের শিরোপা আমরাই জিততে চাই। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের কোচ আবদুল করিম জুয়েল ও মালিক প্রতিষ্ঠান নেট ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্তারা। অধিনায়ক পাইলটের মতে এখানে সব দলই শক্তিশালী বিশেষ করে উদ্বোধনী ম্যাচে চিটাগংয়ে অনেক সেরা ক্রিকেটার রয়েছে। তবুও মাঠে আমরা ভালো খেলাটাই উপহার দিতে চাই।
ঘরের মাঠ আমাদের মূল শক্তি -আশরাফুল
এনসিএল টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট লীগের সব ক’টি ম্যাচ আমরা ঘরের মাঠে খেলছি এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি- বললেন ঢাকা ডাইনামাইটস এর অধিনায়ক আশরাফুল। কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনেরও একই সুর। তার মতে এনসিএল-এর মূল ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ঢাকা ডাইনামাইটস যথেষ্ট সমর্থক পাবে। এতে তাদের মনোবল আরো বাড়বে। এনসিএল এর প্রস্ত্ততি নিয়ে সকালেই হোটেল শেরাটনে সাংবাদিকদের মুখো মুখি হন তারা। আর সংবাদিকদের সামনেই তুলে ধরলেন দলের শক্তিমত্তা। এসময় অধিনায়ক আশরাফুল ও কোচ সুজনের পাশেই ছিলেন দলের শক্তি মাহমুদুলস্নাহ রিয়াদ, মাহবুবুল আলম রবিন, জহুরম্নল ইসলাম। কোচ সুজনের ভাষায় তারা খেলোয়াড় নন এক একজন ডাইনামইটস। ডাইনামাইটের মতোই তারা এনসিএল বিস্ফোরণ ঘটানোর আশায় রয়েছে। আশরাফুল বললেন- আমাদের কোনো প্রধান প্রতিযোগি নেই। টি-টুয়েন্টিতে যে কেউ যে কোনো সময়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। তবে সব দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। আমার মতে আমাদের দল সবচেয়ে ব্যালন্সড দল। তাছাড়া বাংলাদেশে এই এনসিএল টি-টুয়েন্টি আরো আগে হওয়া উচিত ছিল। এতে ক্রিকেটাররা আরো অভিজ্ঞ হতে পারতো। ঢাকা ডাইনামইটস ১২ এপ্রিল বরিশাল বেস্নজার্সের বিরম্নদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলবে।

Source: D.D.S

Mashrafee joined NCLt20 surprisingly


টোয়েন্টি-টোয়েন্টির লটারিপর্বে সুলতানস অব সিলেট প্রথমেই ডেকে নিয়েছিলেন মাশরাফিকে। ব্যাপারটা বোধগম্য হয়নি অনেকের। তারা এটিকে ভেবেছিলেন জুয়া; যে জুয়ায় পরাজয় কেবল সময়ের ব্যাপার। কেকেআর নিশ্চয়ই মাশরাফিকে ছাড়বে না! আর তাঁর যেহেতু বিসিবি থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি নেওয়া, তাই ফিরে আসার বাধ্যবাধকতাও নেই। কিন্তু সুলতানস অব সিলেটের কর্মকর্তারা সেই অসাধ্য সাধন করলেন। এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা কেকেআরের কোচ ডেভ হোয়াটমোরের। মাশরাফি বলেছেন তেমনটাই 'ডেভই কর্মকর্তাদের বললেন, ওখানে নেট প্র্যাকটিস করার চেয়ে এখানে আমি ম্যাচের মধ্যে থাকলে ভালো হবে। আর বলেছেন, প্রয়োজন হলেই আমি যেন চলে যাই।'
সময়টা খারাপ কাটছিল না। আবার খুব ভালোও তো না। পুকুরের মাছের কী আর চৌবাচ্চায় সাঁতার কেটে মন ভরে? ম্যাচ খেলার বদলে নেট প্র্যাকটিস তাই একঘেয়ে উঠছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে। হোক না সেটি আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। হোক না সেটি কোটি টাকার বিনিময়ে!
সুলতানস অব সিলেটের ডাকটি তাই দমবন্ধ মাশরাফির কাছে এসেছে অক্সিজেন হয়ে। আর কাল বিকেলে জাতীয় লিগের দলটির সংবাদ সম্মেলনে তাঁর উপস্থিতি সবার কাছে এসেছে বড় চমক হয়ে। এমনই যে, মিরপুর স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তাঁকে দেখে দিলেন রীতিমতো চিৎকার, 'আরে মাশরাফি ভাই? আপনি? কখন এলেন?'

তবে কেকেআরের বোধকরি মাশরাফিকে প্রয়োজন হবে না। তার চেয়ে ঢের বেশি প্রয়োজন বাংলাদেশের। জাতীয় লিগের টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে খেলে যদি ক্যারিবীয় বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন, সেটিই হবে বড় প্রাপ্তি, 'আমার লক্ষ্যও তেমনটি। ম্যাচ খেলতে খেলতেই আমার ফিটনেস আরো ভালো হবে। এখনই আমি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ফিট। টোয়েন্টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আশা করি শতভাগ ফিট মাশরাফিকেই আপনারা দেখবেন।'
সেই ভালো। নইলে যে বিতর্কের ঝাঁপিটা আবারও খুলে যাওয়ার আশঙ্কা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজে প্রথম ওয়ানডের পর মাশরাফির হোটেল ছাড়া নিয়ে তো গালগপ্পো কম হয়নি। মাশরাফি-সাকিব এখন হাসিমুখে কথা বললেই সে গপ্পো থামবে না। পূর্ণ ফিট মাশরাফি জাতীয় দলে নিজের জায়গা ফিরে পাওয়াই এর সমাধান। সেই পথে বড় এক ধাপ জাতীয় লিগের টোয়েন্টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি বড় ভূমিকা রাখবে বলে মাশরাফির বিশ্বাস।
আরো বড় বিশ্বাস তাঁর দলের ওপর। সুলতানস অব সিলেটের নেতৃত্বভার থাকবে তাঁর ওপর। এ দলটি নিয়েও বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছেন মাশরাফি, 'দলে খুব যে বড় বড় নাম আছে, তা না। অলক-রুবেলের মতো কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের পাশাপাশি তারুণ্যেরই প্রাধান্য। তরুণ প্লেয়াররা সবসময়ই দলের শক্তি। আশা করি এ দলটি নিয়ে আমরা চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইট দিতে পারব।'
কেকেআর থেকে চলে এলেও চুক্তি অনুযায়ী পারিশ্রমিকের পুরো অর্থ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। জাতীয় লিগে আইকন ক্রিকেটারের তালিকায় না থাকলেও সর্বোচ্চ চার লাখ টাকাই পাবেন তিনি। ছিলেন যে এ+ গ্রেডে। ক্রিকেটারদের এই পারিশ্রমিক দেবে ফ্রেঞ্চাইজিগুলো। পাশাপাশি দল কেনার ভিত্তিমূল্য তো আছেই। সুলতানস অব সিলেটের মালিকপক্ষ অবশ্য কিছু অর্থ তুলেও আনছেন। দলের স্পন্সর যে হয়েছে ব্রাক ব্যাংক।
এনেছে তারা বিদেশি ক্রিকেটারও। পাকিস্তানের সেই ফয়সাল ইকবাল অবশ্য নিজের পরিচয়ের চেয়েও জাভেদ মিয়াঁদাদের ভাগিনা হিসেবে বেশি পরিচিত। সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে প্রশ্ন করার মতো তেমন কোনো প্রশ্নই খুঁজে পাননি সাংবাদিকরা।
পাবেন কী করে? মাশরাফি-চমকের ঘোর যে তখনো কাটেনি!
Source: D.K.K

Logos of NCLt20 teams






শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০১০

Is NCLt20 a photocopy of IPLt20?


আইপিএলের সেই আদলে একটি টুর্নামেন্ট করা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। 'হয়-হচ্ছে-হবে' এমন আশাবাদও কম দিনের নয়। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবতার মুখ দেখছিল না। অবশেষে দেখল এবার। জাতীয় ক্রিকেট লিগের টোয়েন্টি-টোয়েন্টি পর্ব করা হলো ফ্রেঞ্চাইজিভিত্তিক। ছয়টি দল কিনে নিয়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠান। এতেই বিসিবি স্বপ্ন দেখছে আইপিএলের মতো এই জনপ্রিয়তার।
প্রথমবার তা-ও দুই দল ছিল তাদের পেছনে। দ্বিতীয়বার কেউ নয়। আইপিএলের আট দলের মধ্যে সর্বশেষ স্থানে থেকে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অথচ মৌসুম শেষের ব্যালেন্স শিট মিলিয়ে দেখুন। ক্রিকেটে রসাতলে গেলে কী হবে, মাঠের বাইরে তারা দারুণ সফল। ক্রিকেট বাণিজ্যে বাকি সাত দল ধারে-কাছেও আসতে পারেনি শাহরুখ খানের ফ্রেঞ্চাইজির।
বিসিবির বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ বেশ পুরনো_বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হওয়া সত্ত্বেও ক্রিকেটকে তারা সেভাবে 'বিক্রি' করতে পারছে না। জাতীয় লিগের টোয়েন্টি-টোয়েন্টি পর্বেও আবার উঠে এসেছে সেই আলোচনা। এখান থেকে শেষ পর্যন্ত যে লাভ হবে, সেটি বিসিবিকে সমান ভাগ করে নিতে হবে ইভেন্ট পার্টনার এটিএন রেকর্ডস। দলগুলোকে ফ্রেঞ্চাইজিগুলোর কাছে বিক্রিও করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। কেন? উত্তর দিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস, 'আসলে জাতীয় লিগে আমরা স্পনসর পাচ্ছিলাম না। তখন এটিএন রেকর্ডসের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়। ৪০ লাখ টাকায় তারা হয় আমাদের ইভেন্ট পার্টনার। সেটি চার দিনের ম্যাচ, ওয়ানডে ও টোয়েন্টি-টোয়েন্টির জন্য। আর আমাদের জন্য ফ্রেঞ্চাইজিগুলো এত তাড়াহুড়োয় বিক্রি করাটাও কঠিন হতো। এ কারণেই এটিএন রেকর্ডসের সঙ্গে এমন পার্টনারশিপে যেতে হলো।' আগামী বছর থেকে টুর্নামেন্ট আরো বড় পরিসরে, আরো জমজমাট হবে বলে মনে করছেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আইপিএলের আদলে তা আয়োজনের, 'আগামী মৌসুমে আমাদের অনেকগুলো স্টেডিয়াম তৈরি হয়ে যাবে। তবে পুরোপুরি আইপিএলের আদলে হচ্ছে না টুর্নামেন্টটি। এখানে ছয়টি দল বিক্রি করা হয়েছে শুধু এক মৌসুমের জন্য। সেটিও ভিত্তি মূল্য ৬৫ লাখ টাকায়। নিলাম করে দলগুলো কেনার জন্য তাই হুড়োহুড়ি করার সুযোগ ছিল না করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। নিলাম হয়নি ক্রিকেটারদেরও। বিসিবি ক্রিকেটারদের গ্রেড এবং মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। 'এ+', 'এ', 'বি', 'সি' ও 'ডি' গ্রেডের ক্রিকেটারদের মূল্য যথাক্রমে চার লাখ, তিন লাখ, দুই লাখ, দেড় লাখ ও এক লাখ টাকা। প্রতিটি দলে চারজন করে আইকন ক্রিকেটারও ঠিক করে দেওয়া ছিল। বাকি ১০ জনকে ডেকে নিয়ে স্কোয়াড পূর্ণ করে দলগুলো।
তখন খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইটেই টোয়েন্টি-টোয়েন্টি আয়োজন করা যাবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম তো থাকছেই। দলগুলোকে তাই হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে-ভিত্তিতে খেলাতে পারব। সবগুলো জায়গায় তৈরি হবে উন্মাদনা। আইপিএলের চেয়ে কোনো অংশে তা কম হবে বলে মনে হয় না।'
আগামী মৌসুমে ফ্রেঞ্চাইজিগুলোতে আরো অনেক মূল্যে বিক্রি করা যাবে বলেও আশাবাদী ক্রিকেট বোর্ড। আর এবারের মালিকরা তাকিয়ে আছেন ১১-২০ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টের সাফল্যের দিকে। ঢাকা ডিনামাইটস কিনেছে বেক্সিমকো গ্রুপ। তাদের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইন্তেখাব মাহমুদ যেমন বলেছেন, 'টেস্ট কিংবা ওয়ানডের মতো এটি কিন্তু শুধু আর ক্রিকেট নেই। রীতিমতো বিনোদন। সেটি কাজে লাগানোর দায়িত্ব এখন বিসিবির। তারা যদি হাইপ তুলতে না পারে, কিংবা আমাদের যদি মনে হয় টুর্নামেন্টটি জমল না, তাহলে স্বভাবতই পরেরবার আমরা আর আগ্রহী হবো না।' তারা চাইছেন এবারের টুর্নামেন্টে শুধু বিনিয়োগই করতে। ভবিষ্যতে এনসিএল টোয়েন্টি-টায়েন্টি জমে উঠলে সেখান থেকে নিশ্চিতভাবেই উঠে আসবে বিনিয়োগ করা অর্থ। আর বিসিবি পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেন তো বলেছেনই, ভবিষ্যতে ফ্রেঞ্চাইজি বিক্রির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন এবারের মালিকরা।
৬৫ লাখ টাকা দিয়ে ফ্রেঞ্চাইজি কেনায়ই শেষ নয় দলগুলোর বিনিয়োগ। ক্রিকেটারদের বেতন দিতে হবে। আছে আনুষঙ্গিক আরো খরচ। সাইক্লোনস অব চিটাগংয়ের মালিক লুৎফুর রহমান বাদলের কথাটিই শুনুন, 'আমরা ফ্রেঞ্চাইজি কিনেছি ৬৫ লাখ টাকায়। খেলোয়াড়দের বেতন দিতে হবে। বিদেশি খেলোয়াড় আনতে হবে। এর বাইরেও নানা খরচ তো আছেই। সব মিলিয়ে খরচ দেড় কোটির কম না।' হতেই পারে। এক কোটি টাকার হিসাব তো সহজেই চোখে পড়ে। ফ্রেঞ্চাইজির ৬৫ লাখ আর ক্রিকেটারদের বেতন ৩৫ লাখ। সাইক্লোনস অব চিটাগংয়ে 'এ+', 'এ', 'বি' ও 'সি' গ্রেডের ক্রিকেটার আছেন যথাক্রমে এক, ছয়, পাঁচ ও দুজন করে। বিসিবির বেঁধে দেওয়া ফরম্যাটে এই ১৪ জনের বেতন দাঁড়ায় ঠিক ৩৫ লাখ। বিসিবি প্রতিটি দলকে জার্সি ও অন্যান্য খরচ বাবদ দেবে পাঁচ লাখ টাকা করে। বাকি সব খরচই তো ফ্রেঞ্চাইজিগুলোর। ছয়জন করে বিদেশি খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে দলগুলো। প্রতি ম্যাচে মাঠে নামানো যাবে দুজন। আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য শোয়েব আখতারকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে জানালেন বাদল।
চেষ্টার কমতি নেই। কিন্তু আয়োজনে ঘাটতিটা চোখে পড়ছে ঠিকই। হয়তো তাড়াহুড়োর কারণেই। 'আমরা চেয়েছি এবার যেকোনোভাবেই টুর্নামেন্টটি চালু হোক। পরের বছর থেকে দেখবেন সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে'_জালাল ইউনূসের এই প্রতিশ্রুতি পূরণ হলেই হয়। এবারের সাফল্যের ওপরই নির্ভর করছে আগামীতে জাতীয় ক্রিকেট লিগে টোয়েন্টি-টোয়েন্টির কলেবর আরো কত বৃদ্ধি পায়!
Courtesy: D.K.K